মানিকের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ ইডির। ফাইল ছবি।
পরিবারের লোকেদের নামে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাশাপাশি অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের নামেও অ্যাকাউন্ট খুলেছিলেন মানিক ভট্টাচার্য। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের নামে আরও গুরুতর অভিযোগ এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। চাকরি দেওয়ার নামে কেবল টাকা নেওয়াই নয়, ছেলের সংস্থার নামে নিজের পদের প্রভাব ও প্রতিপত্তির অপব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা নয়ছয়েরও অভিযোগ করছে ইডি। সব মিলিয়ে দুর্নীতি মামলায় আরও একাধিক গুরুতর অভিযোগের মুখে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি।
আদালতে ইডি দাবি করেছে, নিজের ছেলের সংস্থার সঙ্গে শিক্ষক শিক্ষণ সংস্থার চুক্তি করে ২ কোটি ৬৪ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন মানিক। টাকা নিলেও প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী কাজ করেনি ওই সংস্থা। টাকাও ফেরত দেননি। ইডির দাবি, এ সবই হয়েছিল মানিক নিজের নামের প্রভাব ও পদের প্রতিপত্তির অপব্যবহার করার মাধ্যমে।
ইডির দাবি, নিজের পরিবারের বিভিন্ন লোকের নামে ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খুলতেন মানিক। সেখানে প্রচুর টাকা জমা পড়ত। কিন্তু সেই টাকার উৎস কী? এই প্রশ্নের কোনও সঠিক উত্তর মানিকের কাছ থেকে পাননি বলে দাবি ইডির আধিকারিকদের। তদন্তে মানিক মোটেও সহযোগিতা করছেন না বলেও ইডি সূত্রে খবর। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, পরিবারের লোকেদের সঙ্গে বিভিন্ন অজ্ঞাতপরিচয় লোকজনের নাম জুড়ে দিয়েও বেনামি জয়েন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হত। তাতেও ঘুষের টাকা গিয়ে থাকতে পারে।
আদালতে ইডি দাবি করেছে, চাকরি বিক্রির গোটা কাণ্ডের ‘মূল মাথা’ হিসেবে কাজ করতেন মানিক। এক দশক ছিলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রধান পদে। মানিকের আমলে রাজ্যে চাকরি হয়েছে ৫৮ হাজারেরও বেশি প্রার্থীর। তাদের মধ্যে কত জনের নিয়োগ বেআইনি? তা নিয়ে যেমন প্রশ্ন রয়েছে, তেমনই পুরো প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত রয়েছে বিপুল অঙ্কের আর্থিক লেনদেন, তা নিয়েও কার্যত নিশ্চিত ইডি। কোথায় গেল সেই টাকা? ইডির দাবি, একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে গচ্ছিত রাখা হত ঘুষের টাকা। বুধবার জোকা ইএসআই হাসপাতালে রুটিন স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানো হয়েছে মানিকের।