লকডাউন প্রত্যাহারে স্বস্তি
NEET

নিট পরীক্ষার কেন্দ্র জেলায় নয় কেন, প্রশ্ন

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় পরীক্ষা ‘নিট’ হতে চলেছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১১ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:০৬
Share:

পরীক্ষার্থীদের যেতে হবে যে পথ দিয়ে।

শনিবার লকডাউন প্রত্যাহারে স্বস্তি মিলেছে অনেকটাই। কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ার থেকে শিলিগুড়ি যাতায়াত নিয়ে দুশ্চিন্তা কাটছে না দুই জেলার নিট পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের অনেকেরই। এ দিকে, করোনা আবহে জেলায় জেলায় পরীক্ষাকেন্দ্র করা হল না কেন, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের কয়েকজনের কথায়, জেলা স্তরে পরীক্ষা হলে চার-পাঁচ ঘণ্টার যাতায়াতের দুর্ভোগ এড়ানো যেত। তা ছাড়া, কোচবিহার- শিলিগুড়িগামী রাস্তার একাংশ বেহাল হয়ে রয়েছে। ফলে, জেলায় পরীক্ষা হলে যানজটের চিন্তা হত না, বরং সুবিধাই হত বলে দাবি পরীক্ষার্থীদের অনেকের।

Advertisement

রবিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর মেডিক্যালে ভর্তির সর্বভারতীয় পরীক্ষা ‘নিট’ হতে চলেছে। দু’টি জেলারই নিট পরীক্ষার্থীদের বড় অংশের সিট পড়েছে শিলিগুড়ি মহকুমায়। কিন্তু, করোনার জেরে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। বাস চললেও শনিবার লকডাউন হওয়ার কথা থাকায় অনেকে গাড়ি ভাড়া নিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন।

তুফানগঞ্জের বাসিন্দা এক অভিভাবক প্রদীপ দেব বলেন, “নিট পরীক্ষায় ছেলের সিট পড়েছে মাটিগাড়ার একটি স্কুলে। শনিবার লকডাউন প্রত্যাহার হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি। কিন্তু শিলিগুড়িগামী রাস্তায় ময়নাগুড়ির কাছে জেইই পরীক্ষার দিন যাতায়াতের সময়ে রাস্তার যা অবস্থা দেখেছি, তা নিয়ে চিন্তা কিছুটা থাকছেই। জেলায় পরীক্ষা হলে ভাল হত।” কোচবিহারের বাসিন্দা আর এক অভিভাবক পঙ্কজ দেবনাথ বলেন, “মেয়েকে নিয়ে ব্যক্তিগত গাড়িতে যাব। এই আবহে জেলায় পরীক্ষা হলে সবচেয়ে ভাল হত।” তুফানগঞ্জের এক শিক্ষক সুপ্রিয় দত্ত বলেন, “মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিকের মতো পরীক্ষা যদি পঞ্চায়েত এলাকায় করা যায়, তাহলে নিট কেন অন্তত জেলাস্তরে করা যাবে না! পরীক্ষার্থীদের কথা এই সময়ে ভাবা উচিত ছিল।” কোচবিহারের এক পরীক্ষার্থী বিরাজ সাহার কথায়, “শনিবার লকডাউন তুলে নেওয়ায় রাজ্য সরকারকে ধন্যবাদ। আগের দিন বাসে যাব। তবে কোচবিহারে পরীক্ষার কেন্দ্র হলে এতটা দূরে যেতে হত না।”

Advertisement

আলিপুরদুয়ারের কুমারগ্রাম থেকে শিলিগুড়ির দূরত্ব প্রায় আড়াইশো কিমি। আলিপুরদুয়ার থেকে প্রায় দু’শো কিমি। শামুকতলার বাসিন্দা এক অভিভাবক সমরেশ পণ্ডিত জানালেন, তাঁর ছেলে নিট পরীক্ষার্থী। করোনা আবহে জেলায় জেলায় পরীক্ষা কেন্দ্র হলে এতটা সমস্যায় পড়তে হত না। শিলিগুড়িতে যখন পরীক্ষা দিতে যেতে হবে, অন্তত কয়েকটি স্পেশাল বাস এবং ট্রেন চালানোর ব্যবস্থা করলে আমাদের উদ্বেগে দিন কাটাতে হত না। গাড়ি ভাড়া করে ছেলেকে নিয়ে যাব। তার পরেও বেহাল রাস্তা নিয়ে চিন্তা তো রয়েইছে। আলিপুরদুয়ারের অন্য এক অভিভাবক বললেন, ‘‘করোনা আবহে আত্মীয় পরিজনদের বাড়িতেও ওঠা যাচ্ছে না। পরীক্ষার দিন গাড়ি ভাড়া করে শিলিগুড়ি যাওয়া ছাড়া কোনও উপায় নেই। এ দিকে, গাড়ি ভাড়া চার থেকে পাঁচ হাজার টাকা, তার উপরে গাড়িও মিলছে না। সকলের পক্ষে তো অত টাকা খরচ করে যাতায়াতও সম্ভব নয়।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement