—প্রতীকী ছবি।
আগামী মাসেই সংসদে পেশ হবে কেন্দ্রীয় বাজেট। সেখানে আয়কর নিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন বড় ঘোষণা করবেন বলে তুঙ্গে উঠেছে জল্পনা। বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, বছরে ১৫ লক্ষ টাকা উপার্জনকারীদের করের আওতা থেকে এ বার বাদ দেবেন তিনি। বর্তমানে আয়করের দু’টি কাঠামো হয়েছে। নতুন কর ব্যবস্থা এবং পুরনো কর ব্যবস্থা। এখনকার নিয়মে চাকরিজীবীরা আয়করে কত টাকা ছাড় পাচ্ছেন, এই প্রতিবেদনে রইল তার হদিস।
২০২০ সালের বাজেটে নতুন কর কাঠামো চালু করে নরেন্দ্র মোদী সরকার। এতে আয়ের নিরিখে মোট ছ’টি স্ল্যাবের ভিত্তিতে কর নিচ্ছে কেন্দ্র। নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী, বছরে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারীদের কোনও কর দিতে হবে না। বছরে তিন লক্ষ এক টাকা থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয় হলে করের পরিমাণ দাঁড়াবে পাঁচ শতাংশ। ১০ শতাংশ কর দেবেন সাত লক্ষ এক টাকা থেকে শুরু করে বছরে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত যাঁদের আয়।
পরের তিনটি স্ল্যাবে আয়করের মাত্রা ১৫, ২০ এবং ৩০ শতাংশ রেখেছে কেন্দ্র। ১৫ শতাংশ করের ক্ষেত্রে বার্ষিক আয়ের পরিমাণ ১০ লক্ষ এক টাকা থেকে ১২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত হতে হবে। আর ১২ লক্ষ এক টাকা থেকে ১৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে ধার্য হবে ২০ শতাংশ কর। বার্ষিক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি আয় হলে করের পরিমাণ ৩০ শতাংশে গিয়ে দাঁড়াবে।
নতুন কর কাঠামোয় এইচআরএ, এলটিএ এবং আয়কর আইনের ৮০সি ও ৮০ডি ধারা অনুযায়ী মিলবে না কোনও ছাড়। তবে করদাতা স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের সুবিধা পাবেন। গত বছরের (পড়ুন ২০২৪) বাজেটে এই স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ ৫০ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ৭৫ হাজার টাকা করেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। পারিবারিক পেনশনভোগীদের ক্ষেত্রে স্ট্যান্ডার্ড ডিডাকশানের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
অন্য দিকে পুরনো কর ব্যবস্থায় একাধিক ছাড়ের সুবিধা রয়েছে। এতে পিপিএফ, ইএলএসএস, এলআইসি প্রিমিয়াম, স্বাস্থ্য বিমার প্রিমিয়াম, দু’লক্ষ টাকা পর্যন্ত গৃহ ঋণের সুদ, এইচআরএ এবং এলটিএতে ছাড় পাবেন করদাতা। এতেও করের স্ল্যাব ছ’টি। বছরে আড়াই লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়ে দিতে হবে না কোনও কর। বার্ষিক আড়াই লক্ষ এক টাকা থেকে সাত লক্ষ টাকা পর্যন্ত উপার্জনকারীদের ক্ষেত্রে করের পরিমাণ ধার্য হয়েছে পাঁচ শতাংশ। পরবর্তী ধাপগুলিতে ১০, ১৫, ২০ এবং ৩০ শতাংশ আয়কর রেখেছে কেন্দ্র।