ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
মুচমুচে খাবার কার না ভাল লাগে! তবে মুচমুচে খাবার চেখে দেখার সুযোগ হয় বিকেলের জলখাবারেই। দিনভরের স্বাস্থ্যকর রুটিনকে ওই একটি সময়ে সামান্য দূরে ঠেলার আশকারা দিতে মন চায়। কিন্তু তা বলে কি প্রাতরাশে মুচমুচে খাবার ইচ্ছে হয় না? মুচমুচে মানে কি অস্বাস্থ্যকর! একেবারেই না। প্রাতরাশের স্বাস্থ্যকর খাবার ডিমকেও মুচমুচে করে খাওয়া যেতে পারে।
কী ভাবে ডিম হবে মুচমুচে?
অবশ্যই সেদ্ধ কিংবা পোচ নয়। তবে ওমলেটকে মুচমুচে বানানো সম্ভব। শুধু একটি উপাদান মেশালেই রোজের ওমলেটে আসবে ‘ট্যুইস্ট’। সেই জাদু উপাদানের নাম হল ভাত। আগের দিনের বেঁচে যাওয়া ভাত প্রায় সব বাড়ির ফ্রিজেই মজুত থাকে। সেই ভাত আর ডিম দিয়ে বানিয়ে ফেলুন মুচমুচে ডিম ভাজা যার আর এক নাম ‘ক্রিস্পি রাইস ওমলেট’।
টাটকা ভাতে হবে না
ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
মনে রাখবেন ক্রিস্পি রাইস ওমলেট বানাতে কিন্তু টাটকা ভাত চলবে না। আগের দিনের ফ্রিজে রাখা বাসি ভাতই এর জন্য উপযুক্ত। কারণ টাটকা ভাতে আর্দ্রতা থাকে বেশি। তাই তা দিয়ে আর যা-ই হোক, ওমলেট মুচমুচে হবে না। অন্য দিকে বাসি ভাত সারা রাত ফ্রিজে থাকায় তার আর্দ্রতা নষ্ট হয়। পুষ্টিবিদেরা বলেন, বাসি ভাতে শর্করার পরিমাণ কমে ফাইবারও তৈরি হয়। তাই পুষ্টিকর আর মুচমুচে ওমলেটের জন্য বাসি ভাতই জরুরি।
কী ভাবে বানাবেন?
একটি প্যান গরম করে তাতে সামান্য চিলি অয়েল বা সাধারণ তেল এবং চিলি ফ্লেকস দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে নিন।
এ বার তাতে এক কাপ বাসি ভাত দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে খুন্তি বা স্প্যাচুলা দিয়ে চেপে প্যানে ভাতটা সমান করে একটি সমান স্তর তৈরি করুন। ওই ভাবেই কিছু ক্ষণ রান্না হতে দিন।
ভাতের নীচের অংশটি তেলে ভেজে কুড়মুড়ে হয়ে এলে ২-৩টি ডিম ফেটিয়ে ভাতের উপরে দিয়ে তাতে ধনেপাতা কুচি, পেঁয়াজ কুচি, চিজ় এবং আপনার অন্য পছন্দের উপাদান দিয়ে তার পরে ঢাকা দিয়ে রান্না করুন।
ডিম সোনালি হয়ে এলে ঢাকা খুলে আড়াআড়ি পাট করে নিন। যাতে দু’পাশে ভাজা ভাতের পরত থাকে আর মাঝখানে ডিম। গরম গরম পরিবেশন করুন।