পুজোশেষে: মদনমোহন মন্দির চত্বরে রাজকুমারী। শুক্রবার। নিজস্ব চিত্র
পরিবারের কুলদেবতা মদনমোহন মন্দিরে পুজো দিলেন কোচবিহারের রাজ পরিবারের কন্যা উত্তরাদেবী। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ শহরের শতাব্দীপ্রাচীন ওই মন্দিরে যান তিনি। সঙ্গে ছিলেন তাঁর কন্যা তথা বর্ধমানের যুবরানি ভবানীকুমারী ও কোচবিহার হেরিটেজ কমিটির সদস্য নিরুপম ঘোষ।
পুরোহিত হরগৌরী মিশ্রের সঙ্গে মন্দিরের সামনে বসে মন্ত্রোচ্চারণও করেন সকন্যা উত্তরাদেবী। রাজকন্যাকে এত কাছ থেকে দেখতে পেয়ে অন্য দর্শনার্থীদের মধ্যেও গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে। রাজকন্যার সঙ্গে নিজস্বী তোলার আবদারও করেন অত্যুৎসাহী অনেকেই। রাজকন্যা প্রায় সকলের ওই আবদার মিটিয়েছেন হাসিমুখেই।
পুজো দিয়ে মন্দিরের একটি ঘরে বেশ কিছুক্ষণ কাটান তিনি। দেবোত্তর ট্রাস্ট বোর্ডের কর্মী জয়ন্ত চক্রবর্তী রাজকন্যার হাতে মদনমোহন দেবের একটি ছবি উপহার হিসেবে তুলে দেন। সেখানে উত্তরাদেবী মন্দির রক্ষণাবেক্ষণের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “দারুণ সময় কাটালাম। এখানে আমার খুব ভাল লেগেছে। দারুণ রক্ষণাবেক্ষণ হচ্ছে মদনমোহন মন্দিরের।”
পরে তিনি কোচবিহারের ঐতিহ্যবাহী সুনীতি অ্যাকাডেমি স্কুলেও যান। তাঁকে ঘিরে ছিল উন্মাদনা। ছাত্রীদের অনুষ্ঠানও উপভোগ করেন তিনি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন পড়ায় রাজবাড়ি বন্ধ ছিল। তাই এ দিন সেখানে যাওয়া হয়নি রাজকুমারীর। রাজবাড়িতে নিজের থাকার ঘরটি মেয়েকে দেখানোর ইচ্ছে পূর্ণ না হওয়ায় কিছুটা আক্ষেপও করলেন উত্তরাদেবী। বললেন, “যেতে চেয়েছিলাম। শুনলাম আজ বন্ধ।” রাজকুমারীর মেয়ে ভবানী কুমারী বলেন, ‘‘আগেও বাইরে থেকেই রাজবাড়ি দেখেছিলাম। সেবারও শুক্রবার ছিল। পরে আবার আসব।’’
উত্তরা দেবীকে কাছে পেয়ে, নিজস্বী তুলতে পেরে উচ্ছ্বসিত ছাত্রী, শিক্ষিকা থেকে মদনমোহন মন্দিরের দর্শনার্থীরা অনেকেই। দিনহাটার মৌমিতা পাল বলেন, “এভাবে একজন রাজকন্যাকে সামনে থেকে দেখে আমি অভিভূত।’’