ধূপগুড়ি স্টেশনে বিক্ষোভ। নিজস্ব চিত্র।
নবান্ন আভিযানে দলীয় কর্মীর মৃত্যু এবং কেন্দ্রের নতুন ৩টি কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে ধূপগুড়িতে রেল অবরোধ করল ডিওয়াইএফআই এবং সারা কৃষকসভার কর্মীরা। বৃহস্পতিবার সকালে প্রথমে ধূপগুড়িতে দলীয় কার্যলয়ে জড়ো হন তাঁরা। সেখান থেকে ধূপগুড়ি রেল স্টেশনে পৌঁছে বিক্ষোভ অবরোধ শুরু করেন। বিক্ষোভের জেরে একটি মালগাড়ি দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে মোতায়েন ছিল পুলিশ বাহিনী।
কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে বৃহস্পতিবার গোটা দেশে রেল রোকো অভিযানে নামে সারা ভারত কৃষকসভা। এ রাজ্যে তার সঙ্গে যুক্ত হয় ডিওয়াইএফআই কর্মীর মৃত্যুর ইস্যু। ২ ইস্যুকে সামনে রেখে বামপন্থী ২ সংগঠনের রেল অবরোধের জেরে রাজ্যের বিভিন্ন স্টেশনে দাঁড়িয়ে পড়ে বেশ কিছু ট্রেন।
ধূপগুড়ির কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা মমতা রায়, প্রাণগোপাল ভাওয়াল জয়ন্ত মজুমদার নির্মাল্য ভট্টাচার্যরা। তাঁরা জানান কেন্দ্রীয় কৃষি আইন বাতিলের দাবি এবং দিল্লিতে কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন জানিয়ে এই রেল অবরোধ কর্মসূচি।
ডিওয়াইএফআই ধূপগুড়ি জোনাল সম্পাদক নির্মাল্য ভট্টাচার্য বলেন, “গত ১১ ফেব্রুয়ারি নবান্ন অভিযানে ডিওয়াইএফআই এবং এসএফআই কর্মীরা পুলিশের লাঠিচার্জের মুখে পড়ে মইদুলের মৃত্যু। তারই প্রতিবাদে রাজ্য জুড়ে আমরা রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করছি।”
রেল অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে যাতে বড় কোনও আশান্তি তৈরি না হয় তার জন্য পর্যাপ্ত পুলিশি বন্দোবস্ত ছিল ধূপগুড়ি রেল স্টেশনে। ধূপগুড়ি থানার আইসি সুজয় তুঙ্গার নেতৃত্বে বিরাট পুলিশ বাহিনী উপস্থিত ছিল। পাশাপাশি রেল পুলিশের কর্তারাও ছিলেন।
রেল রোকো কর্মসূচি নেওয়া হয় নিউ কোচবিহার স্টেশনেও। দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত নিউ কোচবিহার স্টেশনে রেল লাইনে দাঁড়িয়ে ট্রেন আটকে দেন আন্দোলনকারীরা। আন্দোলনের জেরে আটকে পড়ে পদাতিক এক্সপ্রেস। প্রায় ১ ঘণ্টা আটকে থাকে পদাতিক এক্সপ্রেস। সিআইটিইউ-এর জেলা সম্পাদক তারিণী রায় বলেন, “সারা দেশে ৪ ঘণ্টার অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে ১ ঘন্টার অবরোধ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। বিভিন্ন পরীক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে বিভিন্ন জায়গায় ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত অবরোধ কর্মসূচি রাখা হয়েছে।” পশ্চিম বর্ধমান জেলার রুপনারায়ণপুর স্টেশন সংলগ্ন রেলগেটে দুর্গাপুরের মায়া বাজারে অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন সারা ভারত কৃষক সভার কর্মীরা।