স্মৃতি: জলদাপাড়ার হলং বনবাংলো। ফাইল ছবি।
জলদাপাড়ার হলং বনবাংলোয় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে রাজ্যের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দিল বন দফতর। যদিও এই রিপোর্ট নিয়ে কোন মন্তব্য করতে চাননি দফতরের কর্তারা। তবে তাঁরা শুক্রবারেও দাবি করেছেন, এখনও তাঁদের সন্দেহ, বিদ্যুতের ‘শর্ট সার্কিট’ থেকেই হলং বনবাংলোয় আগুন লেগেছে। এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের একটি দলও গঠন করা হয়েছে। দু-এক দিনের মধ্যেই ওই দল তদন্তের কাজ শুরু করবে বলে রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায় শুক্রবার জানিয়েছেন।
গত মঙ্গলবার রাতে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ছাই হয়ে যায় জলদাপাড়ার ঐতিহ্যবাহী হলং বনবাংলো। পর দিন সকালেই ঘটনাস্থলে আসেন উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপাল ভাস্কর জেভি। বিকেলে জলদাপাড়ায় পৌঁছন রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপাল (বন্যপ্রাণ) দেবল রায়ও। বৃহস্পতিবার দীর্ঘক্ষণ ধরে ঘটনার তদন্ত করেন তিনি। বন দফতর সূত্রের খবর, হলং বাংলোয় অগ্নিকাণ্ড নিয়ে জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যানের বনাধিকারক ও উত্তরবঙ্গের মুখ্য বনপালের তরফে ইতিমধ্যেই দফতরে প্রাথমিক রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, রাজ্যের প্রধান মুখ্য বনপালও ঘটনা যে তদন্ত করেছেন, তার প্রেক্ষিতেই রাজ্যের কাছে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বন দফতরের এক শীর্ষ কর্তা জানান, দফতরের তরফে প্রাথমিক রিপোর্ট পেশ করা হলেও, অগ্নিকাণ্ডের কারণ নিয়ে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞদের রিপোর্ট কী থাকে, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সে রিপোর্টের দিকে প্রত্যেকেই তাকিয়ে।
অন্য দিকে, হলং বনবাংলোয় আগুন নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে অভিযোগ জানাবেন বলে দাবি করেছেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ মনোজ টিগ্গা। বৃহস্পতিবারের পরে শুক্রবারও ফের জলদাপাড়ায় এসে বন আধিকারিকদের সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন তিনি। কিন্তু এ দিনও ফিরে যেতে হয় তাঁকে। বনকর্তারা জানান, বর্ষার কারণে তিন মাসের জন্য জঙ্গল বন্ধ। সবার ক্ষেত্রে একই নিয়ম প্রযোজ্য। তিনি অভিযোগ করেছেন, অগ্নিকাণ্ডের পিছনে বন দফতর ‘শর্ট সার্কিট’-কে কারণ বলে দাবি করলেও, এর পিছনে অন্য কারণ রয়েছে। তার তদন্তের জন্যই কেন্দ্রে অভিযোগ জানাবেন তিনি। এ নিয়ে মনোজকে পাল্টা কটাক্ষ করে তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসদ প্রকাশ চিক বরাইক বলেন, ‘‘সব ঘটনাকে রাজনৈতিক মোড় দেওয়ার প্রয়োজন নেই। বন দফতরের তদন্তের উপরে আমাদের আস্থা রয়েছে। সাংসদ প্রথমে তাঁর নিজের এলাকার ফ্লাইওভারের দাবি পূরণ করুন।’’