বিমল গুরুং।—ফাইল চিত্র।
প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে রোশন গিরি পাহাড়ে ফিরতেই উচ্ছ্বাস ডুয়ার্সের গুরুংপন্থী মোর্চা শিবিরে। ৬ ডিসেম্বর শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে বিমল গুরুংয়ের সভায় যত বেশি সম্ভব লোক নিয়ে যেতে মরিয়া তাঁরা। ইতিমধ্যেই ওই সভা নিয়ে আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ও কালচিনিতে জোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছেন জেলার মোর্চা নেতারা।
চা বলয় অধ্যুষিত আলিপুরদুয়ার জেলার মাদারিহাট ও কালচিনি ব্লকে মোর্চার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। অপেক্ষাকৃত কিছুটা কম হলেও কুমারগ্রামেও ভালই প্রভাব রয়েছে মোর্চার। কিন্তু বিমল ‘পাহাড় ছাড়া’ হতেই মোর্চার নেতা-কর্মীদের অনেকে নিষ্ক্রিয় হতে শুরু করেন। তবে প্রায় সাড়ে তিন বছর পরে ফের বিমল ফিরতেই সেই পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করে। মোর্চার নেতারা জানিয়েছেন, ইতিমধ্যেই ডুয়ার্সের বিভিন্ন জায়গায় মোর্চার কমিটিগুলিকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। কিছু কমিটি নতুন করে গড়ে তোলার প্রক্রিয়াও চলছে।
এরই মধ্যে রোশন গিরি পাহাড়ে পৌঁছতেই উচ্ছ্বাস বাড়তে শুরু করেছে মোর্চার আলিপুরদুয়ার জেলার নেতা-কর্মীদের মধ্যে।গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্য ডুয়ার্সের নেতা সুমন তামাংয়ের কথায়, “রোশন গিরি ইতিমধ্যেই পাহাড়ে চলে এসেছেন। আমরা এখন বিমল গুরুংয়ের শিলিগুড়িতে আসার অপেক্ষায় রয়েছি। শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে তাঁর ৬ ডিসেম্বরের জনসভার দিকে আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা তাকিয়ে রয়েছেন। ওই সভায় মাদারিহাট ও কালচিনি ব্লক থেকে প্রচুর কর্মী-সমর্থক যোগ দেবেন।”
মোর্চার মধ্য ডুয়ার্সের নেতারা জানিয়েছেন, বাঘাযতীন পার্কে ওই সভার প্রস্তুতি হিসেবে সোমবার বীরপাড়ায় একটি বৈঠক হওয়ার কথা। সেই বৈঠক থেকেই ওই সভায় কী ভাবে কত লোক নিয়ে যাওয়া যায়, তা ঠিক করা হবে। মোর্চার এক নেতার কথায়, ‘‘বিমল গুরুং কলকাতায় আসার পর থেকেই আমাদের কর্মী-সমর্থকেরা বাড়তি অক্সিজ়েন পেতে শুরু করেছেন। অনেকেই বাঘাযতীন পার্কের সভায় যেতে চাইছেন।’’ সুমন বলেন, ‘‘সব কর্মী-সমর্থকদের শিলিগুড়িতে নিয়ে যেতে যত বাসের প্রয়োজন, তা পেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। সে জন্যই সোমবার বৈঠকে বসার কথা ভাবা হয়েছে।’’
বিমলকে নিয়ে ডুয়ার্সের মোর্চা শিবিরের উচ্ছ্বাসে কিছুটা হলেও চিন্তায় আলিপুরদুয়ারের গেরুয়া শিবিরের নেতাদের অনেকেই। যদিও প্রকাশ্যে তাঁরা বলে চলছেন, বিমলের ফিরে আসার কোনও প্রভাব বিধানসভা নির্বাচনে পড়বে না।