রাখি বন্ধনকে হাতিয়ার করে জনসংযোগ কর্মসূচি নিতে উদ্যোগী হয়েছে কোচবিহারের রাজনৈতিক দলগুলি। তৃণমূল ও বিজেপি শিবিরে ওই বিষয়টি নিয়ে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে। তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ আর বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান কর্মসূচি চলছে। রাখি বন্ধনকে হাতিয়ার করে তা নিয়ে উৎসাহ, উদ্দীপনা আরও বাড়ানো যাবে বলেও দুই দলের নেতাদের অনেকে মনে করছেন। নিজেদের মতো করে রাখি বন্ধন উদযাপনের ব্যাপারেও ‘হোমওয়ার্ক’ শুরু করেছেন তাঁরা।
এ বারে ১৫ অগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিন রাখি বন্ধন উৎসব। স্বাধীনতা দিবস পালন অনুষ্ঠান বিজেপির সদস্য সংগ্রহ অভিযান ২০ অগস্ট পর্যন্ত চলবে। তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিও ওই সময়ে জারি থাকছে। জনসংযোগের পাশাপাশি দুই শিবিরের তরফে নিজেদের মতো করে কেন্দ্র ও রাজ্যের উন্নয়ন, সাফল্যের কথাও বলা হচ্ছে। যদিও রাখি বন্ধন উদযাপনের সঙ্গে রাজনৈতিক ভাবনার যোগের কথা মানছেন না কেউই। তৃণমূলের কোচবিহার জেলা সভাপতি বিনয়কৃষ্ণ বর্মণ বলেন, “কর্মী, সমর্থকরা রাস্তায় সাধারণ পথচারীদের রাখি পরিয়ে সৌভ্রাতৃত্বের বার্তা দেবেন।” বিনয়ের আশা, অন্যবারের চাইতে এ বারে বেশি কর্মীরা অংশ নেবেন এই কর্মসূচিতে। দলের এক নেতার দাবি, বিজেপির সন্ত্রাসের প্রতিবাদে কর্মীদের ওই উন্মাদনা আরও বেড়েছে।
বিজেপির জেলা সভানেত্রী মালতী রাভা বলেন, “দলের সমস্ত শাখা সংগঠন রাখি বন্ধন উৎসব উদযাপন করবে। সদস্যপদ অভিযানের মধ্যে বাসিন্দাদের রাখি বেঁধে তাঁদের সঙ্গে আরও নিবিড়, মধুর সম্পর্ক, সম্প্রীতির অটুট বন্ধন গড়ে তোলার বার্তা দেওয়া হবে।” তাঁর অভিযোগ, তৃণমূল জেলায় সন্ত্রাস করছে।
রাখি বন্ধন উৎসব নিয়ে পরিকল্পনা নিচ্ছেন কংগ্রেস, বাম শিবিরের নেতারাও। জেলা কংগ্রেস সভাপতি শ্যামল চৌধুরী বলেন, “দলের জেলা অফিসের সামনে রাখি বন্ধন উৎসবের কর্মসূচি পালান করা হবে।” সিপিএমের কোচবিহার জেলা সম্পাদক অনন্ত রায় বলেন, “ জেলার সর্বত্র শান্তি, সম্প্রীতি রক্ষার বার্তা দিতে দলের ছাত্র, যুব ও মহিলা সংগঠনের কর্মীরা রাখি উৎসবে সামিল হবেন।” তাঁর সংযোজন, রাজনৈতিক অশান্তির জন্য তৃণমূল, বিজেপি, দুই দল দায়ী। যা মানতে নারাজ দু’দলই।