মাঝেরডাবরিতে শুরু রাজনীতি

বুধবারের ঘটনার পর এখন এই প্রশ্নই উঠল বিভিন্ন মহলে। যদিও এ দিনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রংও লেগে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। যা অস্বীকার করে আবার তৃণমূলকে পাল্টা দুষেছে বিজেপি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:৩৬
Share:

রুদ্ধশ্বাস: পুলিশ জনতা খণ্ডযুদ্ধ। মাঝেরডাবরিতে। ছবি: নারায়ণ দে

মাঝেরডাবরি চা বাগানের জমিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প তৈরি করার ক্ষেত্রে স্থানীয় বাসিন্দাদের বোঝাতে কি ব্যর্থ প্রশাসন? যার জেরে এত কাণ্ড?

Advertisement

বুধবারের ঘটনার পর এখন এই প্রশ্নই উঠল বিভিন্ন মহলে। যদিও এ দিনের ঘটনায় ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক রংও লেগে গিয়েছে। তৃণমূলের তরফে গোটা ঘটনার জন্য বিজেপির দিকেই অভিযোগের আঙুল তোলা হয়েছে। যা অস্বীকার করে আবার তৃণমূলকে পাল্টা দুষেছে বিজেপি।

প্রায় ছ’দশক আগে আলিপুরদুয়ার পুরসভার মর্যাদা পায়। এই সময়ের মধ্যে বিভিন্ন দল পুরসভার ক্ষমতায় থেকেছে। কিন্তু অভিযোগ, দীর্ঘ সময় ধরে শহরের জঞ্জাল কিংবা আবর্জনা ফেলার জন্য কোনও ডাম্পিং গ্রাউন্ড ছিল না বলে অভিযোগ। তবে গত কয়েক বছর ধরে সেই উদ্যোগ শুরু হতেই বারবার বাধার মুখে পড়তে হয় পুরসভা ও প্রশাসনকে।

Advertisement

গত বছর অক্টোবরে পুরসভার তৃণমূল পরিচালিত বোর্ডের মেয়াদ শেষ হয়। তার ঠিক আগে মাঝেরডাবরি চা বাগানের অন্য একটি জমিতে ডাম্পিং গ্রাউন্ড তৈরির প্রস্তুতি নেওয়া হয়। কিন্তু শিলান্যাসের দিনই ফলক ভেঙে দেন বাসিন্দারা। ফলে সেই পরিকল্পনাও ভেস্তে যায়। পুরসভার প্রশাসক হিসাবে মহকুমাশাাসক কৃষ্ণাভ ঘোষ দায়িত্ব নেওয়ার পর মাঝেরডাবরি চা বাগানের অন্য একটি জমিতে সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প তৈরির প্রস্তুতি শুরু হয়। বাসিন্দাদের বোঝাতে একাধিকবার আলোচনায় বসেন প্রশাসনের কর্তারা। প্রকল্পটি হলে যে দূষণ বা দুর্গন্ধ ছড়ানোর প্রশ্ন নেই, সেই কথাই বারবার বাসিন্দাদের বোঝানো হয়।

কিন্তু অভিযোগ, প্রশাসনের কর্তারা এলাকার একটি অংশের মানুষকে বিষয়টি নিয়ে বোঝাতে পারলেও, আরেকটি অংশের মানুষ সেখানে প্রকল্পের বিরুদ্ধেই ছিলেন। গত একমাসে প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে বিষয়টি তাঁরা জানিয়েছেনও। তারপরও পাঁচিল তৈরির কাজ চলছিল। এরই মধ্যে এ দিনের ঘটনা।

তৃণমূল নেতা তথা আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্তের অভিযোগ, এ দিনের ঘটনার জন্য সম্পূর্ণ দায়ী প্রশাসন। বিরোধী দলগুলির উস্কানিতে সেখানে কয়েকদিন ধরে হইচই হচ্ছিল। বারবার বলা সত্ত্বেও তা প্রশাসন সঠিক ব্যবস্থা নেয়নি।

তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী বলেন, ‘‘বিজেপি নেতারা কোন উন্নয়নমূলক কাজ হোক চান না। সেজন্য তাদের কয়েকজন নেতার নেতৃত্বে এই ঘটনা ঘটেছে।’’ বিজেপি জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা পাল্টা অভিযোগ করেন, নিজেদের ব্যার্থতা ঢাকতে তৃণমূল নেতৃত্ব ও প্রশাসনের একাংশ বিজেপিকে দুষছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement