Murder

কামাখ্যা এক্সপ্রেসে গুলির ঘটনায় খুনের মামলা দায়ের, নিশ্চিত নিহতের পরিচয়ও

সোমবার রাতে এনজেপি স্টেশনে ঢুকছিল এক্সপ্রেসটি। সেই সময় হঠাৎ একটি অসংরক্ষিত কামরায় গুলির শব্দ শোনা যায়। দেখা যায়, ওই কামরার এক যাত্রী মাথা ঝোঁকানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আসনে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জলপাইগুড়ি শেষ আপডেট: ১১ এপ্রিল ২০২৩ ১১:৪২
Share:

যাত্রীর গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার হওয়ার পর এনজেপি স্টেশনে তদন্তকারীরা। — নিজস্ব চিত্র।

ডাউন কামাখ্যা-আনন্দবিহার এক্সপ্রেসে গুলিতে যাত্রী মৃত্যুর ঘটনায় খুনের অভিযোগে মামলা রুজু করা হয়েছে। তার ভিত্তিতে শুরু হয়েছে তদন্তও। রেলপুলিশ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। নিহতের পরিচয় সম্পর্কেও নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ। সোমবার ওই এক্সপ্রেসটি নিউ জলপাইগুড়ি (এনজেপি) স্টেশনে ঢোকার সময় গুলির আওয়াজ পান যাত্রীরা। তার পর উদ্ধার হয় এক যাত্রীর গুলিবিদ্ধ দেহ।

Advertisement

রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে এনজেপি স্টেশনে ঢুকছিল ওই ট্রেনটি। সেই সময় হঠাৎ একটি অসংরক্ষিত কামরায় গুলির শব্দ হয়। যাত্রীদের মধ্যে ছড়ায় আতঙ্ক। পরে দেখা যায়, ওই কামরার এক যাত্রী মাথা ঝোঁকানো অবস্থায় পড়ে রয়েছেন আসনে। তাঁর পাশে পড়ে রয়েছে একটি আগ্নেয়াস্ত্র। প্রাথমিক ভাবে যাত্রীরা ভেবেছিলেন, আত্মহত্যা করেছেন ওই যাত্রী। কিন্তু রেলপুলিশ দেখতে পায়, ওই যাত্রীর দেহে একাধিক বুলেটের ক্ষত রয়েছে। সে ক্ষেত্রে উঠে আসে খুনের তত্ত্ব। তার ভিত্তিতেই রুজু করা হয়েছে খুনের মামলা। শিলিগুড়ির রেলপুলিশের সুপার এস সেলভা মুরগান বলেন, ‘‘ওই ঘটনায় খুনের মামলা রুজু করা হয়েছে। তার তদন্ত চলছে।’’

রেলপুলিশ নিহতের পরিচয় সম্পর্কেও নিশ্চিত হয়েছে। জানা গিয়েছে, নিহতের নাম সঞ্জয় সিংহ পরমার। তিনি রাজস্থানের বাসিন্দা। সঞ্জয় এক জন প্রাক্তন সেনাকর্মী। এই ট্রেনের অসংরক্ষিত ওই কামরার যাত্রী ছিলেন যাঁরা তাঁদের জিজ্ঞাসবাদ করা হচ্ছে। ওই কামরা খতিয়ে দেখবে ফরেনসিক দলও।

Advertisement

নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৬ সালে সেনা থেকে অবসর নিয়েছিলেন সঞ্জয়। তার পর অসমের একটি নির্মাণ সংস্থার মালিকের আপ্ত সহায়ক হিসাবে কাজ করছিলেন তিনি। তাঁর কাছে লাইসেন্সপ্রাপ্ত একটি পিস্তল ছিল বলেও সঞ্জয়ের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে। সঞ্জয়ের ভাই রাজেশ সিংহ পরমার বলেন, ‘‘এক রাজ্যের প্রাক্তন সেনাকর্মীকে অন্য রাজ্যে এসে খুন হতে হল। আমরা এর তদন্ত চাই।’’ সঞ্জয়ের পারিবারিক কোনও অশান্তি ছিল না বলেও জানিয়েছেন তাঁর ভাই। রেলপুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল অসমের কামাখ্যা স্টেশন থেকে। অসংরক্ষিত কামরায় উঠেছিলেন ওই প্রাক্তন সেনা জওয়ান। সেখানে আসন দখল নিয়ে তাঁর সঙ্গে বচসা হয় বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কারও সঙ্গে হাতাহাতির সময় প্রাক্তন সেনাকর্মী নিজের পিস্তল বার করেছিলেন বলে তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান। ধস্তাধস্তির সময় তাঁর পিস্তল কেড়ে নিয়ে কেউ গুলি চালিয়েছিল বলেও অনুমান করা হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement