ছবি: শাটারস্টক।
সকালে অফিসে ঢুকে এক কাপ কফি বা চা খান নিশ্চয়ই। অনেক ক্ষেত্রেই সেই চা বা কফি খাওয়ার জন্য টেনে নেন এক বার ব্যবহারের কাগজের কাপ। কিন্তু জানেন কি ওই কাপের মাধ্যমে আপনার শরীরে কতখানি মাইক্রোপ্লাস্টিক প্রবেশ করছে?
মাইক্রোপ্লাস্টিক কোষের ক্ষতি সাধন করে শরীরে ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে বলে উল্লেখ করেছে বহু গবেষণা। এ ছাড়াও শরীরে মাইক্রোপ্লাস্টিকের নানা ক্ষতিকর প্রভাবের কথা প্রায়ই বলা হয়। তবে এক বার ব্যবহারের কাপ নিয়ে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের বুলধানা শহরে জেলাশাসক ড. কিরণ পাটিলের একটি নির্দেশনামার পরে। সম্প্রতি তিনি বুলধানায় কাগজের কাপের ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করে বলেছেন, ‘‘কাগজের কাপই ক্যানসার রোগের একটি বড় কারণ। দেশে ক্যানসার রোগীর সংখ্যা বেড়ে চলেছে ওই কাগজের কাপের জন্যই।’’
ড. পাটিলের ওই নির্দেশিকার পরেই এক জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে অঙ্কোসার্জন চিকিৎসক তীরথরাম কৌশিক বলেছেন, ‘‘এক বার ব্যবহার করে ফেলে দেওয়ার কাগজের কাপ যে যে উপাদানে তৈরি হয়, যেমন মাইক্রোপ্লাস্টিক বা পারফ্লুয়োরোয়াকিল সাবস্ট্যান্সেস, সেগুলি ক্যানসারের কারণ হতে পারে।’’ যদিও একই সঙ্গে কৌশিক জানিয়েছেন, কাগজের কাপ ক্যানসার ছড়ায়, এমন প্রমাণ এখনও হাতে নাতে পাওয়া যায়নি।
কিন্তু একটি কাগজের কাপে কত মাইক্রোপ্লাস্টিক থাকে? ২০২৪ সালেরই একটি গবেষণালব্ধ তথ্য দিয়ে তার জবাব দিয়েছেন নয়াদিল্লির দ্বারকার মণিপাল হাসপাতালের ক্যানসার চিকিৎসক মৃদুল মালহোত্র। তিনি বলছেন, ‘‘অগস্ট মাসে হওয়া ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, কাগজের কাপ গরম চা বা কফির সংস্পর্শে ১৫ মিনিট থাকলে, তা থেকে অন্তত ২৫ হাজার মাইক্রোপ্লাস্টিক বেরোতে পারে। অর্থাৎ ভাবুন, কেউ যদি দিনে তিন বার কাগজের কাপে চা খান, তেবে তা থেকে দিনে তার শরীরে ৭৫ হাজার মাইক্রেপ্লাস্টিক প্রবেশ করবে।’’