ছাঁটাই হওয়া কর্মীরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। নিজস্ব চিত্র।
ছাঁটাই বনকর্মীদের অবস্থান-বিক্ষোভ চলাকালীন তাঁদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। গত ৪ ডিসেম্বর থেকে কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের পুন্ডিবাড়ি রেঞ্জ অফিসের সামনে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করেন ৩২ জন ছাঁটাই কর্মী। ৩ বছর আগে ‘সেন্ট্রালি স্পনসর্ড স্কিম রাইনো’প্রকল্পের জন্য ৩২ জন কর্মীকে নিয়োগ করা হয়েছিল। ৩বছর কাজ করার পর গত ১ জুলাই তাঁদের জানানো হয়, রাইনো প্রকল্প বন্ধ হয়ে গিয়েছে। আর তাঁদের প্রয়োজন নেই।
এর পরই দফায় দফায় আন্দোলন শুরু করেন ছাঁটাই হওয়া বনকর্মীরা। ৪ ডিসেম্বর থেকে অবস্থান-বিক্ষোভ শুরু করার পর রবিবার ওই ৩২ জন কর্মীর সঙ্গে আলোচনায় বসেন ডিএফও সঞ্জিতকুমার সাহা । দীর্ঘ আলোচনার পরে ডিএফও-র কথায় সন্তুষ্ট না হয়ে রেঞ্জ অফিসের গেট বন্ধ করে দেন আন্দোলনকারীরা। যার জেরে অফিসের মধ্যেই আটকে থাকেন ডিএফও। রবিবার রাতে পুন্ডিবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে আন্দোলনকারীদের উপর লাঠিচার্জ করে বলে অভিযোগ।
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে শ্যামল সরকার জানিয়েছেন, তাঁদের সঙ্গে বহু বার প্রতারণা হয়েছে। এর আগেও বহু বার তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে, কিন্তু কাজ হয়নি। হঠাৎ করে কাজ চলে যাওয়ায় ৩২ টি পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। ডিএফও সঞ্জিতকুমার সাহা বলেছেন, ‘‘রাইনো প্রজেক্ট একটি সেন্ট্রালি স্পনসর্ড স্কিম। ফান্ড বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ওই প্রজেক্টে কর্মরত ৩২ জন কর্মীর কাজ বন্ধ রাখা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আমি এসেছি। তাঁদের দাবি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হবে।’’