নিজস্ব চিত্র।
গরু পাচারের ‘পাণ্ডা’দের গ্রেফতার করতে গিয়ে আক্রান্ত পুলিশ। বেশ কিছুদিন আগে কয়েক জন বাংলাদেশিকে আটক করেছিল ফাঁসিদেওয়া থানার পুলিশ। অভিযোগ, তাঁরা বাংলাদেশ থেকে ভারতে গরু পাচারের উদ্দেশ্যে এসেছিলেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করতেই ফাঁসিদেওয়া এলাকার বেশ কয়েক জনের নাম উঠে আসে। মূলত ফাঁসিদেওয়া থানার অন্তর্গত ধনিয়া মোড় গ্রামের মহম্মদ হামিদুলই মূল পাণ্ডা হিসেবে চিহ্নিত হন। অভিযোগ, হামিদুল বাংলাদেশের বাসিন্দাদের আশ্রয় দেন তাঁর বাড়িতে।
শুক্রবার রাতে ফাঁসিদেওয়া থানার সাদা পোশাকের পুলিশ হামিদুলকে আটক করতে যায়। পুলিশ সূত্রে দাবি, হামিদুলের লোকেরা পুলিশের উপর লাঠি, রড, পাথর দিয়ে হামলা চালান। ঘটনার খবর পাওয়া মাত্রই ফাঁসিদেওয়া থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছে আহত পুলিশ কর্মীদের কোনও ক্রমে উদ্ধার করে। ফাঁসিদেওয়া গ্রামীণ হাসপাতালে তাঁদের চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়। আহত পুলিশকর্মী সাব ইন্সপেক্টর ওয়াসিম বারি-সহ আরও তিন জন রয়েছেন।
পুলিশের উপর হামলার অভিযোগে শনিবার দু’জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ধৃতেরা হলেন মহম্মদ রাহুল (২১), হরমুজ আলি (৪৫)। তাঁরা কালুজোত এলাকার বাসিন্দা বলে পুলিশ সূত্রে খবর। এই হামলার পিছনে যাঁরা যাঁরা জড়িত রয়েছেন, তাঁদের পাকরাও করতে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে দার্জিলিঙের অতিরিক্ত সুপার মনোরঞ্জন মণ্ডল বলেন, ‘‘একটি পুরনো মামলার তদন্তকালীন পুলিশ কালুজোত এলাকায় বাধার সম্মুখীন হয়। সেই ঘটনায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’