প্রতীকী ছবি
উদ্বেগের মধ্যেই উত্তরবঙ্গে প্লাজমা থেরাপি শুরু চেষ্টা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে যে শহরে সব চেয়ে বেশি সংক্রমণ ছড়াচ্ছে সেই শিলিগুড়িতেই প্লাজমা থেরাপি শুরু করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই তা শুরু করার কথা ছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে ব্লাড ব্যাঙ্কের মাধ্যমে প্লাজমা সংরক্ষণ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছিল সেবকরোডের দুই মাইল এলাকায় ওই বেসরকারি ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ শেষ পর্যন্ত এ দিন সরকারি অনুমোদন তথা ছাড়পত্র পায়নি। তাতেই আপাতত আটকে যায় ওই প্রক্রিয়া। তাদের পরিকাঠামোগত আরও কিছু বিষয়ে প্রয়োজনীয় নথি দিতে বলা হয়েছে।
প্রাথমিক ভাবে ঠিক ছিল এ দিন দুপুরের মধ্যেই সরকারি ভাবে ওই কাজের জন্য ছাড়পত্র ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষ পাবেন। সেই মতো কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের তরফে করোনা জয়ী চিকিৎসক অনির্বাণ রায় প্লাজমা দেওয়ার জন্য দুপুরেই ওই ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়েছিলেন। তাঁর দেওয়া প্লাজমা প্রধাননগরে একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করোনা আক্রান্ত এক রোগীকে দেওয়ার কথা। কিন্তু এরপরেই অনুমোদন নিয়ে জটিলতায় তা করা সম্ভব হয়নি। কোভিড কেয়ার নেটওয়ার্কের অন্যতম কর্মকর্তা তথা রাজ্যে করোনা মোকাবিলায় গঠিত টাস্কফোর্সের সদস্য চিকিৎসক অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘পরিকাঠামো গত সমস্যা জেরে এই ব্লাড ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের অনুমোদন পেতে সমস্যা রয়েছে। অন্য কোন ব্লাড ব্যাঙ্কে সেই ব্যবস্থা করা য়ায় তা দেখা হচ্ছে।’’
অন্য দিকে এ দিন করোনার সংক্রমণ নিয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালের রিকু-এ এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। তাঁর বাড়ি চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের দেবীনগর এলাকায়। পুরসভার ৪৬ নম্বর ওয়ার্ড এবং লাগোয়া ওই এলাকায় করোনার সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকায় নতুন করে এ দিন ৩৬ জনের করোনার সংক্রমণ মিলেছে। তার মধ্যে ২১ জন দার্জিলিং জেলার অধীনে থাকা পুরসভার ওয়ার্ডগুলোর বাসিন্দা।
ভক্তিনগর থানার আইসি’র করোনা সংক্রমণ মিলেছে। সংক্রমণ মিলেছে পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেবের নিরাপত্তার কাজে যুক্ত এক পুলিশ কর্মীর। তিনি চোপড়ার বাসিন্দা। তবে সম্প্রতি তিনি ছুটিতে ছিলেন বলে জানানো হয়েছে। শিলিগুড়ি পুর এলাকা ছাড়া দার্জিলিং জেলায় নতুন করে আরও পাঁচ জনের করোনা সংক্রমণের রিপোর্ট মিলেছে।