বন্দুক হাতে মহম্মদ আলাউদ্দিন। — নিজস্ব চিত্র।
বন্দুক হাতে তৃণমূল নেতার ছবি ভাইরাল সমাজমাধ্যমে। আর সেই ছবি ঘিরেই শুরু হয়েছে তৃণমূল এবং বিজেপির তরজা। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে শাসকদল। যদিও অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার বক্তব্য, ওই বন্দুক খেলনা। মেলায় গিয়ে বেলুন ফাটানোর জন্য ওই এয়ারগান হাতে নিয়েছিলেন তিনি। এই ঘটনা মালদহ জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের মালিওর এলাকার।
সম্প্রতি হরিশ্চন্দ্রপুর-২ মালিওর-২ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রতিকা আখতারির স্বামী তথা তৃণমূল নেতা মহম্মদ আলাউদ্দিন ওরফে সেন্টুর বন্দুক হাতে ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে। আর তা নিয়েই শুরু হয়েছে বিতর্ক। ছবিতে দেখা যাচ্ছে, বন্দুক হাতে দাঁড়িয়ে রয়েছেন ওই তৃণমূল নেতা। আর এই ছবি ভাইরাল হতেই শুরু হয়ে গেছে তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে চাপানউতর। বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত ভোটের আগে মানুষকে ভীত-সন্ত্রস্ত করতে চাইছে তৃণমূল। বিজেপির উত্তর মালদহ সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক রূপেশ আগরওয়াল বলেন, ‘‘শাসকদল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত। সেখানকার পঞ্চায়েত প্রধানের স্বামীর আগ্নেয়াস্ত্র হাতে ছবি ভাইরাল। পঞ্চায়েতে ভোট লুট করবে তার প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। এখন থেকেই বোমা-বন্দুক মজুত করছে তারা। তবে মানুষ এর জবাব দেবে।’’
তবে রতিকার স্বামী তথা আলাউদ্দিন বলেন, ‘‘ওটা মেলার খেলনা বন্দুক। বেলুন ফাটানোর জন্য ওটা হাতে নিয়েছিলাম। সেই সময় কেউ ছবি তুলে ভাইরাল করে দিয়েছে। বিজেপির অভিযোগ সত্যি নয়।’’
হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের তৃণমূলের সভাপতি তবারক হোসেন চৌধুরী বলেন, ‘‘বিজেপির পায়ের তলার মাটি সরে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়ন দেখে মানুষ পঞ্চায়েতে ভোট দেবে। নিজেদের পায়ের তলার জমি নেই বুঝতে পেরে ওরা কুৎসা করছে তৃণমূলের নামে।’’