বন্দে ভারতের উদ্বোধন করছেন মোদী। ছবি: ইউটিউব থেকে।
বছর শেষে বিধানসভা ভোট হিমাচল প্রদেশে। তার আগে ভারতের উত্তরের এই রাজ্যে বন্দে ভারত সিরিজের চতুর্থ ট্রেনটির উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার হিমাচল প্রদেশের উনা রেলস্টেশন থেকে যাত্রা শুরু করল দেশের চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। ট্রেনটি হিমাচলের অম্বা অন্দৌরা স্টেশন থেকে নয়াদিল্লি পর্যন্ত যাতায়াত করবে। তবে নতুন ট্রেন চালু হলেও তার পরিষেবা এবং নিরাপত্তা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশঙ্কা জাগতে শুরু করেছে। কারণ গত কয়েক সপ্তাহে পর পর বিভ্রাটের মুখে পড়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
কখনও মোষের পাল বা গরুকে ধাক্কা মেরে তুবড়ে গিয়েছে ট্রেনের সামনের অংশ, তো কখনও আটকে গিয়েছে চাকা। যুক্তিবিদরা বলেছিলেন, এই ট্রেনের গতি এত বেশি, তাতে এ ধরনের ঘটনা স্বাভাবিক। বৃহস্পতিবারের নতুন বন্দে ভারত চালু করার পর রেল অবশ্য জানিয়েছে, নতুন বন্দে ভারত ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিবেগ ছুঁতে পারবে ৫২ সেকেন্ডের মধ্যেই। এই ট্রেন আগের ট্রেনগুলির থেকেও উন্নত। আরও বেশি হালকা। আর তাই আগের বন্দে ভারত ট্রেনগুলির থেকেও কম সময়ে সর্বোচ্চ গতিবেগের মাত্রা ছুঁতে পারবে।
বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে হিমাচলপ্রদেশের উনা হিমাচল রেলওয়ে স্টেশন থেকে ট্রেনটির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। রেল জানায়, বন্দে ভারত পরিষেবা হিমাচলের পর্যটনকে অনেকটা এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। কারণ বন্দে ভারতে অনেক সহজে এবং অনেক দ্রুত পৌঁছে যাওয়া যাবে গন্তব্যে। প্রতি দিন ভোর ৫টা ৫০ মিনিটে নয়াদিল্লি থেকে ছেড়ে সকাল ১১টা ০৫ মিনিটে অম্ব অন্দৌরা স্টেশনে পৌঁছবে ট্রেনটি । আবার অম্ব অন্দৌরা স্টেশন থেকে দুপুর ১টায় ছেড়ে নয়াদিল্লিতে পৌঁছবে সন্ধে ৬টা ২৫ মিনিটে। আপাতত বুধবার ছাড়া সপ্তাহের বাকি ছ’দিনই চলবে ট্রেনটি। যাত্রাপথে ট্রেনটি চারটি রাজ্য এবং একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের উপর দিয়ে যাবে। থামবে পঞ্জাবের অম্বালা, চণ্ডীগড়, আনন্দপুর সাহিব এবং হিমাচলের উনা স্টেশনে।
আপাতত ১৬টি কামরা থাকবে এই বন্দে ভারতে। তবে নিয়মিত পরিষেবা কবে থেকে শুরু হবে তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি রেল। এর আগে দেশে তিনটি বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের পরিষেবা শুরু হয়েছে। দিল্লি থেকে বারাণসী, দিল্লি থেকে কাটরা রুটের পর গত ৩০ সেপ্টেম্বর আমদাবাদ থেকে মুম্বই রুটে দেশের তৃতীয় বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মোদী। এ বার দেশে চতুর্থ বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের আনুষ্ঠানিক সূচনা হল হিমাচলে। তবে রাজ্যে ভোটের মুখেই এই পরিষেবা চালু হওয়ায় অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, এই পদক্ষেপ মোদীর ভোট কৌশল নয় তো!