পার্থ চট্টোপাধ্যায়। —ফাইল চিত্র
কোচবিহার পঞ্চানন বর্মা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন নিয়ে বিরোধের বরফ গলছে। আগের দিন শিলিগুড়িতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় সেই ইঙ্গিত দেওয়ার পর শনিবার পাহাড় সফরে এসে একই বার্তা দিলেন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। সামনে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তনও রয়েছে। তা নিয়েও আচার্য তথা রাজ্যপাল আমন্ত্রণপত্র পাননি বলে জানিয়েছিলেন। এ দিন শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘ছাত্ররা আগে না আমরা আগে। সমাবর্তন হল ছাত্রছাত্রীদের শংসাপত্র দেওয়া। তা নিয়ে এত গন্ডগোল কেন? সব মিটে যাবে। ভুল বোঝাবুঝি হচ্ছে। আমরা যদি সংবিধানের প্রতি দায়বদ্ধ থাকি, তার সঙ্গে যদি মানবিক দিকটা দেখি তা হলে কোনও সংঘাত থাকে না। থাকবেও না।’’
রাজ্যপাল জানান, উপাচার্যরা রাজ্যকে চিঠি দেন। সেখান থেকে রাজভবনে কোনও কারণে পৌঁছয়নি। শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছেন। একটা নিয়ম খুঁজে বার করতে সরকার এবং রাজভবনের অফিসাররা বৈঠক করছেন।
অন্য দিকে বেসরকারি স্কুলগুলির ফি বৃদ্ধি নিয়েও শীঘ্রই বৈঠক করার কথা জানান শিক্ষামন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘‘শুধু পাহাড়ে নয়, সমস্ত বেসরকারি স্কুলগুলির ফি নিয়ে স্কুলের প্রতিনিধি ও অভিভাবকদের সঙ্গে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হবে।’’ পাহাড়ের প্রাথমিক স্কুলগুলির একাংশের পরিস্থিতি ভাল নয় শুনে তিনি জানান, সেগুলির তালিকা করে জিটিএ’র সঙ্গে কথা বলবেন। কারা খারাপ করেছে সেই প্রশ্ন তোলেন তিনি।
এ দিন শেরপা কালচারাল বোর্ডের পাঁচ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পাহাড়ে আসেন শিক্ষামন্ত্রী। দার্জিলিঙের চৌরাস্তায় উদ্বোধন অনুষ্ঠান হয়। বিজেপিকে কটাক্ষ করে জানান, ভয় দেখিয়ে, নাগরিকত্ব আইন দেখিয়ে লাভ হবে না। মানুষের সেবা করতে হবে। দেশের সংবিধান অধিকার দিয়েছে সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে। তা বিঘ্নিত করার চেষ্টা যারা করবে তারা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাবে।
বিজেপি নেতারা অবশ্য জানান, পাহাড়ের মানুষ কাদের সঙ্গে রয়েছে লোকসভা ভোটেই তা স্পষ্ট হয়েছে। মাধ্যমিক চলায় অনুষ্ঠানে মাইক থাকলেও তা ব্যবহার করেননি শিক্ষামন্ত্রী। মাইক্রোফোনের শব্দও বন্ধ রাখা হয়।