Mentally Challanged

বাড়ি থেকে পালায় ছেলে, ছেলের পায়ে বেড়ি পরিয়ে চিকিৎসা করাতে হাসপাতালে মালদহের দম্পতি

গত আট বছর ধরে হাতে-পায়ে শিকল পরানো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা রোডের বৈরনাহি গ্রামের বাসিন্দা সেলিম আখতারের। বড় ছেলে সেলিম দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এমনটাই চান সেলিমের বাবা জাকির হোসেন এবং মা সেহেরা বিবি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২ ১৭:৪১
Share:

ছেলে সেলিম আখতারকে নিয়ে বাবা জাকির হোসেন। — নিজস্ব চিত্র।

নিজের ছেলের পায়ে লোহার বেড়ি পরিয়েছেন বাবা-মা। কারণ, ছেলে মানসিক ভারসাম্যহীন। খোলা থাকলেই প্রতিবেশীদের উপর হামলা চালান। তা ছাড়া পালিয়েও যান বাড়ি থেকে। শিকলবন্দি অবস্থাতেই বছর আঠেরোর ছেলেকে নিয়ে গত দু’দিন ধরে হাসপাতালে রয়েছেন ওই দম্পতি। এই ছবি মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের। বাবা-মায়ের ইচ্ছা, উপযুক্ত চিকিৎসায় সুস্থ হয়ে উঠুক তাঁদের সন্তান।

Advertisement

গত আট বছর ধরে হাতে-পায়ে শিকল পরানো মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুরের ভালুকা রোডের বৈরনাহি গ্রামের বাসিন্দা সেলিম আখতারের। বড় ছেলে সেলিম দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এমনটাই চান সেলিমের বাবা জাকির হোসেন এবং মা সেহেরা বিবি। তাই তাঁকে নিয়ে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে উপস্থিত হয়েছেন জাকির এংব সেহরা। জাকিরের কথায়, গত আট বছর ধরে তাঁর ছেলে মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার পর থেকেই তিনি শিকলবন্দি। মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, সেলিমকে ভর্তি করানো হয়েছিল সেখানকার মেডিসিন বিভাগে। চার দিন পর ছুটি দিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। জাকিরের অভিযোগ, মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মানসিক বিভাগ থাকলেও সেখানে ভর্তি নেওয়া হয়নি তাঁর সন্তানকে। কিন্তু জাকির চান, তাঁর ছেলেকে সরকারি হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি করার ব্যবস্থা করা হোক। যাতে চিকিৎসা পেয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন সেলিম।

জাকির বলেন, ‘‘ও মানসিক ভারসাম্যহীন। এর মধ্যে ওর হাতের তিনটি আঙুলে সংক্রমণ দেখা গিয়েছে। ও বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। এর আগে গুয়াহাটি চলে গিয়েছিল। তাই শেকল দিয়ে বেঁধে রেখেছি। ওকে এই হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি করাতে পারলে ভাল হত। কারণ আমি আর চিকিৎসা করাতে পারছি না।’’

Advertisement

একই দাবি সেলিমের মা সেহরারও। তাঁর কথায়, ‘‘আমি চাই আমার ছেলে সুস্থ হয়ে উঠুক। ওকে এখানকার হাসপাতালের মানসিক বিভাগে ভর্তি করা হোক। বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার পুরঞ্জয় সাহা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement