আবার এজলাজে কেঁদে ফেললেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। ফাইল ছবি।
এজলাসে কেঁদে ফেললেন এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেফতার হওয়া রাজ্যের দাপুটে প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। এই প্রথম বার নয়, আগেও আদালতে কেঁদেছেন তিনি। তবে এ দিন কাঁদতে কাঁদতে মায়ের সঙ্গে কথা বলার কাতর আবেদন জানালেন।
বুধবারই, ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন পার্থ, অর্পিতা। সেখানেই আবার কেঁদে ফেলেন অর্পিতা। আবেদন জানান, যেন তাঁকে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হয়। তিনি ফোন করার অনুমতি পাচ্ছেন না। ভার্চুয়াল মাধ্যমে অর্পিতা বিচারককে বলেন, ‘‘মায়ের সঙ্গে কথা বলতে চাই। ৬৫ দিন ধরে আছি। একটু কথা বলতে চাই।’’ এ কথা বলেই হাউহাউ করে কেঁদে ফেলেন অর্পিতা। চোখ মুছে তার পর বলেন, ‘‘আমার মায়ের বয়স হয়েছে। মাকে ফোন করার জন্য আবেদন করা হয়েছে। ২৫ বা ২৬ অগস্ট আবেদন করেছিলাম।’’ বলার পরেও কেঁদেই চলেন অর্পিতা।
এই সময় অর্পিতার আইনজীবী আদালতকে একটি কাগজ তুলে ধরে জানান, মক্কেল যাতে তাঁর মায়ের সঙ্গে কথা বলতে পারেন সে জন্য আবেদন করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বুধবার ইডি আদালতকে জানিয়েছে, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অঙ্ক ১৫০ কোটি ছাপিয়ে যেতে পারে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটেও হানা দেয় ইডি। ২২ জুলাই অর্পিতার টালিগঞ্জের ফ্ল্যাটে অভিযান চালিয়ে নগদ ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা উদ্ধার করা হয়। ওই ফ্ল্যাট থেকে বহুমূল্যের গয়না ও বিদেশি মুদ্রাও উদ্ধার করেন ইডির আধিকারিকেরা। এর পরই গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকে। ২৭ জুলাই বেলঘরিয়ার রথতলার একটি অভিজাত আবাসনে অর্পিতার নামে থাকা দু’টি ফ্ল্যাটে অভিযান চালায় ইডির দল। সেখানে উদ্ধার হয় ২৭ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা। উদ্ধার করা হয় প্রায় ৬ কিলোগ্রাম সোনা। যার বাজারমূল্য ৪ কোটি ৩০ লক্ষ টাকা।
তার পর থেকেই জেলেই আছেন অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। আদালতের নির্দেশে ইদানীং তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয় না। তার বদলে ভার্চুয়াল মাধ্যমে আদালতে হাজিরা দেন তিনি। কান্নাকাটি করলেও এ দিনও জামিনের আবেদন করেননি অর্পিতা।