ট্যাব-কাণ্ডে বাড়ল ধৃতের সংখ্যা। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
রাজ্যের ট্যাব-কাণ্ডে আরও রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিএসপি মালিককে গ্রেফতার করল পুলিশ। বুধবার সন্ধ্যায় মনোজ চৌধুরী নামে ওই ব্যক্তির দোকানে হানা দিয়েছিলেন তদন্তকারীরা। তার পরই সেখানে তল্লাশি চালিয়ে বেশ কয়েকটি পেনড্রাইভ উদ্ধার করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে বেশ কিছু নথিও আসে পুলিশের হাতে। অনুমান, ট্যাব-কাণ্ডের সঙ্গে এই সব নথির যোগ রয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত মনোজের বাড়ি মালদহের বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার পশ্চিম জেলা পাড়া গ্রামে। সেখানেই তাঁর দোকান রয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় সেই দোকানে হানা দেয় শিলিগুড়ির সাইবার ক্রাইম পুলিশ। তল্লাশি অভিযান শেষে মনোজকে গ্রেফতার করে তারা।
এর আগে, এই বৈষ্ণবনগর থেকেই গ্রেফতার হয়েছিলেন আর এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের সিএসপি মালিক। গত ১৫ নভেম্বর পূর্ব বর্ধমান থানার পুলিশ সুব্রত বসাক নামে এক জনকে গ্রেফতার করেছিল। তিনিও বৈষ্ণবনগর থানা এলাকার বাসিন্দা। ওই বৈষ্ণবনগর থেকে বেশ কয়েক জনকে ধরে পুলিশ। তাঁদের সূত্র ধরেই উঠে এসেছিল সুব্রতের নাম। এ বার সেই বৈষ্ণবনগর থেকেই মনোজকে ধরল পুলিশ। এই থানা এলাকা থেকে এখনও পর্যন্ত ট্যাব-কাণ্ডে সাত জনকে গ্রেফতার করলেন তদন্তকারীরা।
উল্লেখ্য, ট্যাব-কাণ্ডে বুধবার উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর এবং মালদহের হরিশচন্দ্রপুর থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। হরিশচন্দ্রপুরের বাসিন্দা মহম্মদ মোবারক হোসেনের বিরুদ্ধেও অভিযোগ রয়েছে। ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’ হ্যাক করে সেখানে পড়ুয়াদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বদলানো হয়েছিল। পোর্টাল খতিয়ে দেখে মোবারকের নাম পায় পুলিশ। উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুর থানার সহযোগিতায় অভিযুক্তকে হেফাজতে নেয় হরিশ্চন্দ্রপুর থানার পুলিশ। অন্য দিকে, আনোয়ারি খাতুন নামে এক মহিলাকে ইসলামপুর থেকে গ্রেফতার করে বনগাঁ থানার পুলিশ। অভিযোগ, তাঁর অ্যাকাউন্টে ঢুকেছিল ট্যাবের টাকা। ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ভাড়া দিয়ে আনোয়ারি পেয়েছিলেন পাঁচ হাজার টাকা!