—প্রতীকী ছবি।
জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের ভাসানকে কেন্দ্র করে প্রাণহানি কোচবিহারেও। ভাসানে যুবকের গলায় কাঁচি চালিয়ে খুন ঘটনায় চাপানউতর অব্যাহত কলকাতার অদূরে বিধাননগরে। সেই রকমই ঘটনা ঘটল কোচবিহারের বক্সিরহাটে। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে গন্ডগোলের জেরে মৃত্যু হয় এক জনের। জখম হন অন্তত আট-ন’জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ওই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রবিবার রাতে তুফানগঞ্জ-২ ব্লকের বারকোদালি ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় জগদ্ধাত্রী ঠাকুরের বিসর্জনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। দু’গোষ্ঠীই একে অপরের উপর হামলার অভিযোগ তোলে। খবর পেয়ে বক্সিরহাট থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। পুলিশ সূত্রে খবর, দু’পক্ষের পাঁচ জনকে রক্তাক্ত অবস্থায় তুফানগঞ্জ মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তাঁদের মধ্যে অনুপ ডাকুয়া (৪৫) নামে এক জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃতের দাদা অসিত ডাকুয়া বলেন, ‘‘বিসর্জনের পর ভাই যখন বাড়ি ফিরছিল, তখনই কয়েক জন ওর উপর হামলা করে। রক্তাক্ত অবস্থায় ভাইকে হাসপাতালে নিয়েও যাওয়া হয়। কিন্তু বাঁচানো গেল না! যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে, তাদের কঠোর শাস্তি চাই।’’
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেমে রাতেই দু’জনকে আটক করে পুলিশ। পরে তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার সকালে পুলিশ জানিয়েছে, গোলমালের ঘটনায় খুনের মামলা-সহ দু’টি মামলা রুজু হয়েছে। খুনের মামলায় গ্রেফতার হয়েছেন ছ’জন। অন্য মামলাটিতে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘রবিবার রাত ১টা নাগাদ হাসপাতালে অনুপ ডাকুয়ার মৃত্যু হয়েছে। এলাকার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বসানো হয়েছে পুলিশ পিকেট। কোচবিহার সদরের অতিরিক্ত সুপারের নেতৃত্বে রুট মার্চ চলছে।’’