ভিতরে তখন ভোটাভুটি চলছে। বাইরে পুলিশ। —নিজস্ব চিত্র।
ক্ষমতায় এসেই জেলা সংগঠনকে নতুন করে সাজাতে তৎপর হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার মধ্যেই দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি ব্লকের ধলপাড়ায় তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েতের প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হয়ে গেল। তবে বিজেপি-র দুই সদস্য আবার তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। তাই পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব পাশ হলেও, বোর্ডের দখল তৃণমূলের হাতেই রয়ে গেল।
ধলপাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান শেফালি বর্মণ। গত ২২ জুন তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে বিজেপি। হিলি সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কাছে অনাস্থা প্রস্তাবপত্র জমা দেন বিরোধী দলনেতা মৃণাল সরকার। শেফালির বিরুদ্ধে স্বজনপোষণ, দুর্নীতির অভিযোগ আনেন তিনি।
ধলপাড়া পঞ্চায়েতে মোট ১৪ জন সদস্য। এর মধ্যে তৃণমূলের ৮ জন এবং বিজেপি-র ৬ জন সদস্য, যার মধ্যে বিজেপি-র ১ জন সদস্য মারা গিয়েছেন। শুক্রবার সেখানে ভোটাভুটি হলে, ১২-০ ধ্বনিভোটে অনাস্থা প্রস্তাবটি পাশ হয়ে যায়। তবে ভোটাভুটিতে উপস্থিত ছিলেন না শেফালি। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে পঞ্চায়েতের বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছিল।