—নিজস্ব চিত্র।
শিলিগুড়ির বাগরাকোট থেকে লোকাল বাসস্ট্যান্ডটি তিনবাতি মোড়ে সরানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সোমবার আলোচনায় বসলেও, প্রশাসনের সিদ্ধান্তের সঙ্গে তাঁরা সহমত নন বলে জানিয়ে দিলেন বাস মালিকেরা। তিনবাতি মোড় থেকে বেসরকারি লোকাল বাস চললে, যাত্রীসংখ্যা অনেকটাই কমে যাবে, যার জেরে বাস বন্ধ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছে বাস মালিক সংগঠনগুলি। এ দিন পূর্ত দফতরের বাংলোয় বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন শিলিগুড়ি পুরসভার মেয়র গৌতম দেব, জেলাশাসক এস পুন্নমবলম, পরিবহণ দফতর ও পুরসভার আধিকারিকেরা। এ দিনের আলোচনায় কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
তিনবাতি মোড়ে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ নিগমের জমিতে বাসস্ট্যান্ডটি তৈরির কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে পুরসভা। শহরের যানজট কমাতে বাগরাকোটের বাসস্ট্যান্ডটি সেখানে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে প্রথম থেকেই। যদিও বাস মালিকেরা সেখান থেকে বাস চালাতে নারাজ। এ নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তায় পড়েছে পুরসভা ও জেলা প্রশাসন। এ দিনের আলোচনায় বাস মালিকেরা মেয়রকে জানান, তিনবাতি মোড় থেকে বাস চালালে, যাত্রী অনেক কমে যাবে। সেখানে পৌঁছতে টোটো, অটো ভাড়া করে যাত্রীদের যেতে হবে।
এ দিনের আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি। তবে কয়েক দিনের মধ্যে বিষয়টি নিয়ে ফের আলোচনায় বসা হবে বলে জানিয়েছেন মেয়র। তিনি বলেন, “আলোচনার মধ্যে দিয়ে যাতে সুষ্ঠু সমাধান হয় তা দেখা হচ্ছে। বাস মালিকেরা তাঁদের অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। আমরা তাঁদের সমস্যার ব্যাপারে সহানুভূতিশীল। কিন্তু যানজটের কথা ভেবে বাস মালিকদেরও বিবেচনা করে দেখার কথা বলা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও পরিবহণ দফতর সিদ্ধান্ত নেবে।” কয়েক দিনের মধ্যে পরিবহণ সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনায় বসা হবে বলে জানান মেয়র।
‘নর্থ বেঙ্গল প্যাসেঞ্জার ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন কমিটি’র সম্পাদক প্রণব মানি বলেন, “শহরে বাসের কারণে যানজট হচ্ছে না। টোটো, অটোর কারণে যানজট বাড়ছে। তিনবাতি মোড় থেকে বাস চললে, যাত্রী কমে যাবে। প্রশাসন যদি নিশ্চিত করে, যাত্রী সংখ্যা কমবে না, তা হলে আমাদের সেখান থেকে বাস চালাতে আপত্তি নেই।”