তৈরি হচ্ছে মেয়রের ঘর। নিজস্ব চিত্র
অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টির পরে কলকাতার বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্য। চিকিৎসক অনুমতি দিলে তবে তাঁর শিলিগুড়ি ফেরার কথা। তবে সিঁড়ি ভেঙে দোতলায় ওঠার ধকল সইতে পারবেন না। চিকিৎসকও নিষেধ করেছেন। তাই শিলিগুড়ি পুরভবনের এক তলায় তৈরি হচ্ছে মেয়রের নতুন দফতর। তা হলে এই প্রথম কোনও মেয়র পুরভবনের নীচের তলায় বসবেন। এতদিন দোতলায় ছিল মেয়রের দফতর। সেখানেই ডেপুটি মেয়র, পুর কমিশনার, চেয়ারম্যানের দফতর। নানা কাজে মেয়রের ঘরে তাঁদের বারবার যেতে হয়। তাই মেয়রের ঘর নীচে হলে তাঁদের সমস্যা হবে বলে আশঙ্কা।
তা ছাড়া নীচতলায় ট্রেড লাইসেন্স বিভাগের পাশে যেটা মেয়রের ঘর করা হচ্ছে সেখানে আমজনতার আনাগোনা। সামনের করিডরে ফি জমা করতে লাইন দেন বাসিন্দারা। মোটরবাইক, গাড়ি রাখা হয়। তা ছাড়া করিডর জুড়ে পুরনো আলমারি, পরিত্যক্ত সামগ্রী রাখা রয়েছে। তাই নিরাপত্তার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে। সব কিছু ঠিক থাকলে বৃহস্পতিবার মেয়রের আসার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় সেই ঘর প্রস্তুত করা হচ্ছে। ওই ঘরে এক সময় তিন নম্বর বরোর চেয়ারম্যান বসতেন। তারও আগে স্বাস্থ্য বিভাগের মেয়র পারিষদ থাকার সময় দুর্গা সিংহ বসতেন। ওই ঘরের উল্টোদিকে একটি ছোট ঘর রয়েছে, সেটি মেয়রের সহায়কের ঘর হিসাবে রাখার কথা ভাবা হয়েছে। মেয়রের সঙ্গে কেউ দেখা করতে এলে করিডরে বসার ব্যবস্থা করার ভাবনা রয়েছে।
পূর্ত বিভাগের তরফে ঘরটি সংস্কার করা হচ্ছে। এ দিন ঘরটি পরিদর্শন করে পূর্ত বিভাগের মেয়র পারিষদ নুরুল ইসলাম কর্মীদের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন। ঘরে বাতানূকূল যন্ত্র বসাতে বলেন। শৌচাগারের হাল ফেরাতে বলেন। করিডর থেকে পুরনো জিনিসপত্র বুধবারের মধ্যে সরিয়ে সাফ করতে জানিয়ে দিয়েছেন। নুরুল ইসলাম জানান, নতুন ঘর তৈরি হলেও পুর ভবনের দোতলায় মেয়রের যে ঘরটি রয়েছে সেটি আগের মতোই রাখা হচ্ছে।
২৫ অগস্ট শিলিগুড়ির বাড়িতে অসুস্থ হয়ে পড়েন মেয়র। চিকিৎসক অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি করার পরামর্শ দেন। সেই মতো মঙ্গলবার কলকাতায় একটি হাসপাতালে অ্যাঞ্জিয়োপ্লাস্টি হয়। আপাতত চিকিৎসকের পরামর্শে কলকাতার বাড়িতে রয়েছেন মেয়র।