New Restaurant

বক্সার জঙ্গল ঘেরা স্টেশনে খুলল রেলের রেস্তোরাঁ

জঙ্গলের মধ্যে থাকা রাজাভাতখাওয়ার যে জায়গায় এ দিন রেলের কোচ রেস্টুরেন্টটি চালু হয়, তার পাশে শেষ রাতেও হাতি ঘুরে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর।

Advertisement

পার্থ চক্রবর্তী

আলিপুরদুয়ার শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০২৩ ০৯:০৯
Share:

রাজাভাতখাওয়ায় ট্রেনের কামরায় রেস্তোরাঁ। ছবি: নারায়ণ দে

বক্সার জঙ্গলে ঘেরা চার দিক। তার মাঝেই ছোট্ট একটি রেল স্টেশন, রাজাভাতখাওয়া। আর সেই স্টেশনের সামনেই একটা ট্রেনের কামরায় ‘কোচ রেস্টুরেন্ট’ চালু করল রেল। যাত্রা শুরুর প্রথম দিনই সেখানে ভিড় জমালেন পর্যটকদের অনেকে।

Advertisement

উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমরজিত্ গৌতম বলেন, “উত্তরবঙ্গের অন্যতম সেরা পর্যটন কেন্দ্র এই আলিপুরদুয়ার। ফলে এই জেলায় পর্যটনের আরও উন্নতি হোক, সেটা আমাদেরও লক্ষ্য। আর সেই লক্ষ্যেই রাজাভাতখাওয়ায় এই কোচ রেস্টুরেন্ট চালু করা হল।” রেলের আলিপুরদুয়ার ডিভিশনের কর্তারা জানিয়েছেন, এর আগে এই ডিভিশনের অধীন অসমের কোকরাঝাড়ে এমন কোচ রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে। যা সাফল্যের সঙ্গে এগিয়ে চলছে। আগামীদিনে নিউ কোচবিহার রেল স্টেশনেও এমন রেস্টুরেন্ট চালুর পরিকল্পনা রয়েছে রেলের। মূলত এজেন্সির মাধ্যমেই এই রেস্টুরেন্ট চালু করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন রেল কর্তারা। একইসঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, সাধের মধ্যে থাকা দামেই এই রেস্টুরেন্ট থেকে নানা খাবার পাবেন পর্যটকরা।

জঙ্গলের মধ্যে থাকা রাজাভাতখাওয়ার যে জায়গায় এ দিন রেলের কোচ রেস্টুরেন্টটি চালু হয়, তার পাশে শেষ রাতেও হাতি ঘুরে গিয়েছে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। পাশাপাশি একটি ট্রেনের কামরায় চালু হওয়া এই কোচ রেস্টুরেন্টে বসে রাজাভাতখাওয়া স্টেশনের উপর দিয়ে যাতায় করা ট্রেনও দেখতে পারবেন পর্যটকরা। এমনই একটি পর্যটকের দল এদিন কোচ রেস্টুরেন্ট চালুর পর পরই সেখানে চলে আসেন। সেই দলে থাকা বেহালার বাসিন্দা উত্তম দত্ত বলেন, “ট্রেনের কামার ভেতরে এমন রেস্টুরেন্ট দেখে খুব ভাল লেগেছে। আমাদের মতোই আরও অনেক পর্যটক এখানে আসবেন বলে আশাবাদী।”

Advertisement

রাজাভাতখাওয়ায় রেলের কোচ রেস্টুরেন্ট উদ্বোধনে তাকে না ডাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করলেন আলিপুরদুয়ারের বিজেপির সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী জন বার্লা। তাঁর অভিযোগ, “প্রকল্পটি কেন্দ্রের। অথচ, স্থানীয় সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও তাকে সেখানে ডাকা হয়নি। বরং অনুষ্ঠানে তৃণমূল নেতাদের দেখা গিয়েছে। যা ঠিক নয়।” আলিপুরদুয়ারের ডিআরএম অমরজিত্ গৌতম বলন, “একটি সংস্থাকে এই প্রকল্পের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সেই সংস্থাই নিজেদের মতো করে আমন্ত্রণপত্র তৈরি করেছে। এতে রেলের কোনও হাত নেই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement