প্রতীকী ছবি।
আরও এক সদ্যোজাতের মৃত্যু হল জলপাইগুড়িতে। শ্বাসকষ্টের কারণেই মৃত্যু বলে ডেথ সার্টিফিকেটে উল্লেখ করা আছে। এদিকে, জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সোমবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রায় ৪৫টি শিশু ভর্তি হয়েছে হাসপাতালে।
জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে সোমবার দুপুর পর্যন্ত ১২৩টি শিশু ভর্তি রয়েছে হাসপাতালের শিশু বিভাগে। হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়েছে ২৯ টি শিশুকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় এ দিন দুপুর পর্যন্ত ৮টি শিশুকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যালে পাঠানো হয়েছে।
হাসপাতালের শিশু বিভাগে সোমবার সকাল থেকেই ভর্তি থাকা শিশুদের বাড়ির লোকেদের ভিজিটিং আওয়ারেও ঢুকতে দেওয়া নিয়ে নিরাপত্তারক্ষীরা অত্যন্ত কড়াকড়ি শুরু করেছেন বলে অভিযোগ।
ভর্তি থাকা এক শিশুর আত্মীয় উত্তম দাস বলেন, ‘‘বাচ্চাকে দেখতে যেতেও পারছি না। পাঁচজন করে ঢোকানো হচ্ছে। এক ঘণ্টার মধ্যে সব বাচ্চাদের বাবা ও আত্মীয়দের যাওয়া তো অসম্ভব।’’
নিরাপত্তারক্ষীরা জানান, ভিজিটিং আওয়ারসে বাড়ির লোকেদের সঙ্গে সাংবাদিকেরাও ওয়ার্ডে ঢুকে ছবি তুলেছিলেন। কর্তাদের নির্দেশেই এমনটা করা হয়েছে।
এদিন বন্ধের কারণে হাসপাতালে শিশুদের নিয়ে আসতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে অনেককেই। কেউ চারশো বা পাঁচশো টাকা ভাড়া দিয়ে টোটোতে শিশুদের নিয়ে এসেছেন।
হাসপাতালে ভর্তি থাকা শিশুদের আর এস ভাইরাস ও ইনফ্লুয়েঞ্জা বি ভাইরাসের পরীক্ষা করা হচ্ছে না। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথমদিকে দশটি শিশুর নমুনা সংগ্রহ করে কলকাতার স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিনে পাঠানো হয়েছিল। এই পরীক্ষার ব্যবস্থা না থাকায় করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দাবি কর্তৃপক্ষের।
জেলার ভারপ্রাপ্ত মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক মৃদুল ঘোষ এ দিন জানান, সাংবাদিকদের কিছু জানানো যাবে না।