সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় তুফানগঞ্জ মহাকুমা হাসপাতালে চার জন তৃণমূল কর্মী ভর্তি নিজস্ব চিত্র।
কোচবিহারে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ খতিয়ে দেখতে এল জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের বিশেষ প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার প্রতিনিধি দলের সদস্যরা দিনহাটার পেটলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় যান। সেখানকার বাসিন্দা বিশ্বজিৎ রায় এবং চন্দন রায়ের পরিবারের লোকের সঙ্গে কথা বলেন তাঁরা। বিশ্বজিতের বাবা বিনোদ রায় জানান, কমিশনের প্রতিনিধিরা তাঁর ছেলের মৃত্যুর বিষয়ে খোঁজ নিয়েছেন। চন্দনের বাবা মাধব চন্দ্র রায় বলেন, ‘‘আমার ছেলে রাজনীতি করে না। কিন্তু ভোটের আগে আমাদের দোকান ভাঙচুর হয়। ছেলেকে প্রাণে মারার চেষ্টা করা হয়। এই বিষয়গুলি কমিশনের প্রতিনিধিদের কাছে তুলে ধরেছি।’’
অন্য দিকে এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দলের অভিযোগ উঠেছে তুফানগঞ্জ ২ নম্বর ব্লকের ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। তৃণমূলের ব্লক সভাপতি ধনেশ্বর বর্মণ এবং ফলিমারী অঞ্চল সভাপতি নিরঞ্জন সরকারের গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের জেরে গুরুতর আহত অবস্থায় তুফানগঞ্জ মহাকুমা হাসপাতালে চার জন তৃণমূল কর্মী ভর্তি বলে খবর। এই প্রসঙ্গে ধনেশ্বরের অভিযোগ, ‘‘ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি এবং ভানু কুমারী ২ গ্রাম পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি ঠিক মতো কাজ করছেন না। ব্লক নেতৃত্ব, জেলা নেতৃত্বের কোনও কথা শুনছেন না। বিভিন্ন দুর্নীতির সঙ্গে তাঁরা যুক্ত রয়েছেন। এই অবস্থায় সাংগঠনিক কাজ চালানোর জন্য ওই সমস্ত এলাকায় নতুন কমিটি গঠন করা হয়েছে। এটা ওরা সহ্য করতে না পেরে আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা চালায়।’’
অন্য দিকে নিরঞ্জন বলেন, ‘‘বুধবার একটা বৈঠক হয়েছে। সেই বৈঠকে আমাকে ডাকা হয়নি। বৈঠক শেষে ওদের নিজেদের মধ্যে গণ্ডগোল হয়। এই ঘটনার সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই। ফলিমারী গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় নদীর বালি পাথর নিয়ে যে কালোবাজারি চলে সেই কাজে ধনেশ্বরকে সমর্থন না করায় এই অভিযোগ করা হচ্ছে।’’
এই বিষয়ে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক রাহুল রায় বলেন, ‘‘গোষ্ঠী কোন্দলের কোনও বিষয় নেই। তবে কী হয়েছে সেই বিষয়ে ব্লক সভাপতির কাছে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে।’’