Sikkim

সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক বন্ধ, কোন পথে চলাফেরা করবেন পর্যটকেরা, জানাল প্রশাসন

পর্যটক ও স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছে প্রশাসন। প্রশাসন জানিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের মধ্যে যান চলাচল করবে সেবক-লাভা-গরুবাথান-আলগাড়া হয়ে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০২৪ ২৩:৫১
Share:

আবার বন্ধ হল উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। —নিজস্ব চিত্র।

ফের বন্ধ হয়ে গেল উত্তরবঙ্গ থেকে সিকিম যাওয়ার ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। জাতীয় স়ড়কের রবিঝোরা থেকে ২৯ মাইল পর্যন্ত সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকছে টানা ৭২ ঘণ্টা। কালিম্পং জেলা প্রশাসনের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ৬ মে সোমবার সকাল ৬টা থেকে ৯ মে সকাল ৬টা পর্যন্ত এই পথে সমস্ত ধরনের যান চলাচল বন্ধ থাকবে। মাটি-পাথর সরিয়ে মেরামতির জন্য রাস্তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

Advertisement

তবে পর্যটক ও স্থানীয়দের যাতায়াতের জন্য বিকল্প ব্যবস্থাও রেখেছে প্রশাসন। প্রশাসন জানিয়েছে, শিলিগুড়ি থেকে কালিম্পং ও সিকিমের মধ্যে যান চলাচল করবে সেবক-লাভা-গরুবাথান-আলগাড়া হয়ে। ৭২ ঘণ্টার জন্য রংপো থেকে শিলিগুড়িগামী গাড়িগুলি মুনসোং, ১৭ মাইল, আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে চলাচল করতে পারবে। তবে এই রুটে কোনও বড় যানবাহন চলাচল করতে দেওয়া হবে না। এ ছাড়া ছোট যানবাহনগুলি কালিম্পংয়ের চিতরে থেকে আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান হয়ে শিলিগুড়ির দিকে যেতে পারবে। শিলিগুড়ি থেকে এই পথ ধরেই আসতে পারে গাড়ি। পণ্য পরিবাহী যানগুলিকে চিতরে, কালিম্পং শহর থেকে আলগাড়া, লাভা, গোরুবাথান হয়ে শিলিগুড়িতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। উল্টো পথেও এই রুটে যান চলাচল করা যাবে রাত ৯টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। পণ্যবাহী যানবাহন এবং ছোট গাড়িগুলিকে রেশি, পেডং, আলগাড়া, লাভা, গরুবাথান থেকে শিলিগুড়ি পাঠানো হচ্ছে।

এ বিষয়ে কালিম্পং জেলা প্রশাসন বালা সুব্রহ্মণ্যম টি বলেন, ‘‘এর আগেও বেশ কয়েক দফায় জাতীয় সড়ককে সারিয়ে তোলার কাজ চলেছে। পাহাড় কেটে রাস্তা তৈরি হচ্ছে। ফলে বড় বড় যে গর্ত থাকছে, সেগুলোকে ভরাট করে রাস্তার কাজ চালাচ্ছে পুর্ত দফতর। আমরা আশা করছি, আগামী দিনে আর দীর্ঘ সময়ের জন্য বন্ধ থাকবে না জাতীয় সড়ক। তবে একাধিক রুট দিয়ে গাড়ি চলাচল করছে। ৯ তারিখ সকাল থেকেই ফের এই রাস্তা খুলে দেওয়া হবে। বর্ষার আগে এই রাস্তা গড়ে তোলা বড় কাজ।’’

Advertisement

অন্য দিকে, সিকিমে এই মুহুর্তে পর্যটকদের ভিড়। নিত্য দিন চাপ বাড়ছে সিকিমের উপর। রাজ্য-সহ ভিন্‌রাজ্যের পর্যটকেরা এই সময় পাহাড়মুখী হতে চান। কাজেই স্কুল, কলেজের বড় বড় দল সিকিমমুখী হচ্ছে। এই জাতীয় সড়ক বন্ধ হওয়া নিয়ে জেলা প্রশাসনের উপর ক্ষোভ উগরে দিচ্ছে পর্যটন সংস্থাগুলি। তাদের বক্তব্য, প্রশাসন আর কত সময় নেবে! তারা জাতীয় সড়কের স্থায়ী সমাধান চায়। যাঁরা সিকিমে যাচ্ছেন, তাঁদের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে। এ বিষয়ে হিমালয়ান হসপিটালিটি অ্যান্ড ট্যুরিজ়ম ডেভলপমেন্ট নেটওয়ার্কের সম্পাদক সম্রাট স্যানাল বলেন, ‘‘এ নিয়ে দেড় মাস ধরে পাঁচ দফায় বন্ধ থাকল ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কেন স্থায়ী সমাধান হচ্ছে না? সিকিমের উপর এই মুহুর্তে মারাত্মক চাপ। ঘুরপথে যাতায়াতের কারণে পর্যটকদের সময় নষ্ট হচ্ছে। অন্য দিকে গাড়ি ভাড়া বা়ড়ছে। এই সুযোগে গাড়ি ভাড়ার কালোবাজারি চলছে। আমরা একাধিক বার পুর্ত দফতর-সহ জেলা প্রশাসনকে চিঠি দিয়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের স্থায়ী সমাধান চেয়েছি। কিন্তু কোন লাভ হয় না। দফায় দফায় এ ভাবে জাতীয় সড়ক বন্ধ থাকলে পর্যটন ব্যবসার ব্যাপক ক্ষতি হবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement