কাচের জারে উদ্ধার হওয়া সাপের বিষ। নিজস্ব চিত্র।
সাপের বিষ পাচারে নাম জড়াল তৃণমূলের ব্লক সভাপতির ভাইয়ের। মঙ্গলবার ফাঁসিদেওয়ার মুরলিগছে সাপের বিষ-সহ উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে এক জন ইসলামপুরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি জাকির হোসেনের ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের ‘ঘনিষ্ঠ’।
মহম্মদ তৌহিদ আলম নামে ধৃত ওই যুবক রব্বি সিদ্দিকের গাড়ি চালানো থেকে শুরু করে বাড়ির বাজার-সহ রোজকার কাজকর্ম করতেন। ঘটনার দিন অভিযুক্তের কাছেই ব্লক সভাপতির ভাইয়ের গাড়িটিও ছিল। সেটিতেই সাপের বিষ পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ। শাসক দলের ব্লক সভাপতি জাকির বলেন, ‘‘গাড়ি যাঁর, তিনি বলতে পারবেন।’’ তাঁর ভাই ফজলে রব্বি সিদ্দিকের কথায়, ‘‘আমার বাড়ির তিনটি বাড়ি পরেই তৌহিদের বাড়ি। আমার গাড়ি চালায়, বাজার করে, বাড়িতেও থাকে। ঘটনার দিন আমি বাড়িতে ছিলাম না। স্ত্রীর কাছ থেকে ও গাড়ির চাবি নিয়ে যায়। এমন কাজে জড়িত বুঝতেই পারিনি। আমাকে বদনাম করে দিল।’’
বিরোধীদের দাবি, জমি দখল, তোলাবাজি, কয়লা পাচারের পরে, সাপের বিষ পাচারেও নাম ‘জড়াচ্ছে’ তৃণমূল নেতাদের। ফজলে রব্বি পেশায় ঠিকাদার। তিনি আগডিমঠি খুন্তি অঞ্চল কমিটির সদস্য।
বন দফতরের বাগডোগরা রেঞ্জ, কার্শিয়াং ডিভিশনকে নিয়ে ‘ওয়াইল্ড লাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র তরফে যৌথ অভিযান চালানো হয়। দুটি কাচের জারে সাপের বিষ পাচারের আগে, মুরলিগছ এলাকা থেকে ধরা পড়েন মহম্মদ শাহানওয়াজ, তৌহিদ আলম এবং মহম্মদ আজমল। তিন জনই উত্তর দিনাজপুরের ইসলামপুরের বাসিন্দা। গাড়ি এবং একটি স্কুটার থেকে কাচের দু’টি জার উদ্ধার হয়। একটিতে প্রায় ১.৭৬৯ কেজি এবং অন্যটিতে ২.০২৯ কেজি বিষ রয়েছে। ধৃতদের বুধবার শিলিগুড়ি আদালত ১৪ দিনের জেল-হাজতের নির্দেশ দেয়।
‘ক্রাইম কন্ট্রোল বুরো’র এক শীর্ষ অফিসার বলেন, ‘‘কয়েক দিন ধরে অভিযুক্তদের উপরে নজরদারি চলছিল। বহুমূল্য সাপের বিষ আগেও পাচার করেছে কি না, চক্রে আরও কারা জড়িত, সব দেখা হচ্ছে।’’