পুরসভার পেনশন দুর্নীতির টাকা গেল কোথায়, তার খোঁজ শুরু করেছে সিআইডি। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেনে নজরদারি শুরু হয়েছে। খোঁজ নেওয়া হচ্ছে সম্পত্তি কেনা ও হাত বদলের তথ্য বিষয়েও। জলপাইগুড়ি পুরসভায় ভুয়ো পেনশন বিল বানিয়ে প্রায় কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে বলে অভিযোগ। পুরসভার তরফে দায়ের করা অভিয়োগে প্রায় ৮১ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ করা হয়। সম্প্রতি মামলার তদন্তভার নিয়েছে সিআইডি। সূত্রের দাবি, তদন্তের শুরুতেই জানার চেষ্টা হচ্ছে, দুর্নীতি প্রকৃত পক্ষে মোট কত টাকার? দুর্নীতিতে মূল অভিযুক্ত অরিঞ্জিত ঘোষ বর্তমানে জেল হেফাজতে। সূত্রের দাবি, অরিঞ্জিতকে নিজেদের হেফাজতে নিতে আবেদন করেছে সিআইডি।
জলপাইগুড়ি পুরসভার পেনশন দুর্নীতি মামলা সম্প্রতি চাঞ্চল্যকর মোড় নিয়েছে। হাই কোর্টের সার্কিট বেঞ্চের সরকারি আইনজীবী দাবি করেছেন, হাই কোর্টে জমা পড়া পুলিশকে দেওয়া অরিঞ্জিতের বয়ানে, প্রাক্তন পুরপ্রধান মোহন বসু ও বর্তমান পুরপ্রধান পাপিয়া পালের স্বাক্ষরের উল্লেখ রয়েছে। সরকারি আইনজীবী দাবি করেন, পুলিশের কাছে অরিঞ্জিত জানিয়েছে, তার তৈরি বিলে পুরপ্রধানেরা সই করেছেন। যদিও প্রাক্তন-বর্তমান দুই পুরপ্রধানের বক্তব্য, ষড়যন্ত্র করে তাঁদের নাম জড়ানো হয়েছে। পুরসভার নিয়ম মেনে আধিকারিকদের তৈরি নথিতে শীর্ষ কর্তারা সই করে থাকেন এবং কোথাও গলদ থাকলে দায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরই, শীর্ষ কর্তার নয় বলে দাবি। বেশ কিছু ভুয়ো বিল বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। পরে, তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে সিআইডি দুর্নীতির গোড়া খুঁজে বার করার চেষ্টা করছে।
তদন্তের শুরুতেই বেশ কিছু ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের লেনদেন পরীক্ষা করা হচ্ছে বলে সূত্রের খবর। ভুয়ো বিলের ‘আত্মসাৎ’ করা টাকা কোথায় গেল, সেটিই অভিযোগ প্রমাণের অন্যতম হাতিয়ার বলে মনে করা হচ্ছে। ভুয়ো বিল বাবদ তোলা টাকা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে জমা পড়েছে। সেখান থেকে কোন অ্যাকাউন্টে টাকা গিয়েছে বা টাকা তোলা হয়ে থাকলে ,ব্যাঙ্কের কোন শাখা বা কোন এটিএম থেকে তা তোলা হয়েছে, সে সবই এখন গোয়েন্দাদের আতসকাচের তলায়।
সিআইডির আগে মামলার তদন্ত করেছে পুলিশ। পুলিশের একটি সূত্রের দাবি, দুর্নীতির টাকা নগদে বেশ কিছু ব্যক্তির হাতে হাতেও লেনদেন হয়েছে। সে সবই সিআইডি খতিয়ে দেখছে বলে পুলিশের ওইসূত্রের দাবি।