Siliguri

‘২৫ দিন বয়সি ঘুমন্ত কন্যাকে বাবার পাশ থেকে তুলে কুয়োয় ফেলে দিলেন মা’! চাঞ্চল্য শিলিগুড়িতে

শিশুটির পরিবার সূত্রে খবর, সকালে পাশে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন শিশুটির বাবা। ঘুম ভেঙে উঠে দেখেন, সেখানে তাঁর মেয়ে নেই। কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে জানা যায়, তাঁর স্ত্রী মেয়েকে কুয়োয় ফেলে দিয়েছেন।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ১৪:৫২
Share:

শিশুটিকে কুয়োয় ফেলে দেওয়া ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। —নিজস্ব চিত্র।

২৫ দিনের কন্যাসন্তানকে কুয়োয় ফেলে দিলেন মা! ঘটনাটি ঘটেছে শিলিগুড়ির সুকান্তনগর এলাকায়। কুয়ো থেকে শিশুটির দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকা জুড়ে।

Advertisement

শিশুটির পরিবার সূত্রে খবর, সকালে পাশে মেয়েকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন শিশুটির বাবা। ঘুম ভেঙে উঠে দেখেন, সেখানে তাঁর মেয়ে নেই। কিছু ক্ষণ খোঁজাখুঁজির পরে জানা যায়, তাঁর স্ত্রী মেয়েকে কুয়োয় ফেলে দিয়েছেন। খবরটি ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছয় পুলিশ। দমকল বিভাগের কর্মীরা এসে কুয়ো থেকে শিশুর দেহটি উদ্ধার করেন। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত ‘মা’কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনি কেন এমন ঘটনা ঘটালেন, জানতে শুরু হয়েছে তদন্ত।

প্রতিবেশী জয়ব্রত সান্যাল বলছেন, ‘‘আমরা ঘটনার খবর পেয়েই ছুটে যাই। শিশুটির পরিবার জানিয়েছে, বাচ্চাটির মা মানসিক ভাবে অসুস্থ ছিলেন, তার জেরেই এই ঘটনা ঘটিয়েছেন। পুলিশ ও দমকল বিভাগের কর্মীরা এসে বাচ্চাটির দেহ উদ্ধার করেছে।’’ এলাকার কাউন্সিলর দুলাল দত্ত বলেন, ‘‘বাচ্চাটির বাবা নয়ন চক্রবর্তী পেশায় গাড়িচালক। তিনি গাড়ি চালিয়ে বাড়ি ফিরে ঘুমিয়ে ছিলেন। বাচ্চাটি তার বাবার পাশেই শুয়ে ছিল। কখন যে বাচ্চাটির মা তাকে নিয়ে কুয়োর ঢাকনা সরিয়ে ফেলে দিয়েছেন, বাবা জানতে পারেননি। বেশ কয়েক দিন ধরেই নাকি শিশুটিকে কুয়োয় ফেলে দেওয়ার কথা বলছিলেন তাঁর মা। আজ সেটাই ঘটল। তবে শিশুটির মা সত্যিই মানসিক ভাবে অসুস্থ কি না, সেটা তদন্তসাপেক্ষ৷ এই ঘটনার নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কি না, তা-ও খতিয়ে দেখার অনুরোধ করছি প্রশাসনের কাছে।’’

Advertisement

শিলিগুড়ি দমকল বিভাগের ফায়ার অফিসার শঙ্কর সেন বলেন, ‘‘আমরা খবর পাওয়া মাত্রই এসেছি। ওই কুয়োতে প্রায় ২৫ ফুটের মতো জল ছিল। সেই জল পাম্পের সাহায্যের বার করে আমাদের কর্মীরা কুয়োয় নেমে বাচ্চাটিকে উদ্ধার করেন।’’ কিন্তু শেষরক্ষা হল না!

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement