প্রতীকী ছবি।
মর্গের ভেতর এমনিতেই জায়গা কম। তার মধ্যেই রাখা ৩২টি মৃতদেহ। প্রতিদিনই দাবিহীন মৃতদেহের সংখ্যা বাড়ছে হাসপাতালের মর্গে। অথচ সেগুলির সৎকারের ব্যবস্থা হচ্ছে না, অভিযোগ এমনটাই। কোচবিহার সরকারি মেডিক্যাল কলেজের মর্গে তাই লাশের পাহাড় জমছে।
প্রশাসন সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত রোগীর দেহ সৎকারে হিমশিম অবস্থা প্রশাসন-পুরসভার। পুলিশ দাঁড় করিয়ে রেখে সৎকারের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে। কোথাও কোথাও তো স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ হয়েছে পুলিশের। এই পরিস্থিতিতে বেওয়ারিশ লাশের কথা কেউই ভাবেননি। মেডিক্যালের পক্ষ থেকে পুরসভাকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে। মেডিক্যাল কলেজের সুপার রাজীব প্রসাদ বলেন, “পুরসভাকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। দ্রুত যাতে দেহগুলি সৎকারের ব্যবস্থা করা হয়, সে-কথা জানানো হয়েছে।” পুরসভার প্রশাসক ভূষণ সিংহ বলেন, “দ্রুত ওই বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
মেডিক্যাল ও পুলিশ সূত্রের খবর, কোথাও ভবঘুরের মৃত্যু হয়, কোথাও অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধারও হয়। দেহগুলি উদ্ধারের পরে পুলিশি তদন্ত হয়। সেই সময় দেহ মর্গেই রাখা হয়। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, নিয়ম অনুযায়ী মর্গের বেওয়ারিশ দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করে পুরসভা। সে ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেগুলি সৎকার করে দিয়ে থাকে তারা। পুরসভার এক আধিকারিকের কথায়, “এখন সাধারণ মৃত্যুর ক্ষেত্রেও অনেকে কোভিড ভাবছেন। বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রে সন্দেহ হবে, এটা ধরেই নেওয়া যায়। তাই সব ব্যবস্থা করেই সৎকার করা হবে।”