সফল: সিমরন পারভিন। নিজস্ব চিত্র
মাধ্যমিক পরীক্ষার পর ছুটিতে যেমন ইচ্ছে ছিল বান্ধবীদের সঙ্গে আশেপাশে পিকনিকে যাওয়ার। তেমনি ইচ্ছে ছিল বাবা মায়ের সঙ্গে বাইরে ঘুরতে যাওয়ারও। কিন্তু পরীক্ষা শেষ হওয়ার কয়েকদিন পরেই করোনা থাবা বসাতেই দেশ জুড়ে লকডাউন ঘোষণা এবং ঘরবন্দি জীবন। যার ফলে আর ঘুরতে যাওয়া হয়নি সিমরনের।
ঘরে বসে একটু একটু পড়াশোনা ফাঁকে ফাঁকে টিভি, খবরের কাগজের মাধ্যমে সে জানতে পেরেছে, গোটা বিশ্বে কিভাবে থাবা বসিয়েছে করোনাভাইরাস। পাশাপাশি, এই সঙ্কটকালে কীভাবে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাত আক্রান্তদের সুস্থ করার কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসকেরা তাও সে দেখেছে সংবাদমাধ্যমেই। এখন চিকিৎসকদের আলাদা নজরে দেখছে গোটা বিশ্বের মানুষ। চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে বরাবরই ছিল সিমরনের। আর এখন এই সব দেখে এই পেশার প্রতি আলাদা একটা টানও জন্মেছে মেধাবী সিমরনের। সেই কারণে বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করে ভবিষ্যতে একজন ভাল চিকিৎসক হয়ে মানুষের সেবা করতে চায় সে।
মেখলিগঞ্জ পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা সিমরন পারভিনের বাবা সহিদুল রহমান পেশায় একজন ঠিকাদার। মা রেজিয়া বিবি গৃহবধূ। সিমরন মেখলিগঞ্জ ইন্দিরা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় থেকে এ বছর মাধ্যমিক দেয়। বুধবার ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ৬৪৫ পেয়ে মহকুমা শহর মেখলিগঞ্জে সর্বোচ্চ স্থানে সে। শতাংশের হিসেবে ৯২.১৪। সিমরনের বাংলায় পেয়েছে ৯৭, ইংরেজিতে ৯০, অঙ্কে ৯০, ভৌত বিজ্ঞানে ৯৩, জীবন বিজ্ঞানে ৯২, ইতিহাসে ৮৭, ভূগোলে ৯৬।
সিমরনের এই অসামান্য সাফল্যে বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের পাশাপাশি এলাকার বাসিন্দারাও সমান উচ্ছ্বসিত। ফল শুনে অনেকেই টেলিফোনে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই সাফল্যের কৃতিত্ব সিমরন বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের পাশাপাশি প্রাইভেট টিউটর ও বাড়ির লোকেদের সঙ্গে ভাগ করে নিতে চায়।
উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল সম্পর্কিত যাবতীয় আপডেট পেতে রেজিস্টার করুন এখানে