(বাঁ দিকে) বুধবার প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলাপ্রাঙ্গণের পরিস্থিতি। ছবি: পিটিআই। শিলিগুড়ির বাসিন্দা দীনেশ পণ্ডিত (ডান দিকে)। —নিজস্ব চিত্র।
উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজে মহাকুম্ভ মেলায় গিয়ে আহত হয়েছেন শিলিগুড়ির বাসিন্দা দীনেশ পণ্ডিত। এখনও তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারেননি। মোট পাঁচ জন মিলে তাঁরা মহাকুম্ভে গিয়েছিলেন। মঙ্গলবার রাতে ‘শাহি স্নান’-এর আগে বিপর্যয় ঘটে। হুড়োহুড়িতে পড়ে গিয়ে চোট পেয়েছেন দীনেশ। তাঁদের পরিবার চিন্তায় রয়েছে।
মৌনী অমাবস্যা তিথিতে ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুণ্যস্নান করতে চেয়েছিলেন দীনেশ। তিনি শিলিগুড়ির বিধান রোডের বাসিন্দা। তিনি এবং তাঁর বন্ধুরা মঙ্গলবার রাতে ভিড়ের ঠেলায় বিচ্ছিন্ন হয়ে যান। কেউ কারও সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারছিলেন না। পরিবারের কাছে ফোনে বিপর্যয়ের সেই মুহূর্তের বর্ণনা দিয়েছেন দীনেশ। চার জনের মধ্যে দু’জনের সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ হয়েছে। এখনও দু’জনকে খুঁজে পাননি।
দীনেশ জানিয়েছেন, স্নানের পর হুড়োহুড়িতে পড়ে যান তিনি। তাতে তাঁর দম আটকে এসেছিল। শ্বাস নিতে পারছিলেন না। কোনও মতে তাঁকে ধরে তোলা হয়। সেখানকার লোকজনই তাঁকে উদ্ধার করে জল খাওয়ান। পরে কিছুটা সুস্থ বোধ করেন দীনেশ।
দীনেশের মা হীরামতি বলেন, ‘‘স্নানশেষে হুড়োহুড়ি আর ধাক্কায় আমার ছেলে পড়ে গিয়েছিল। দমবন্ধ হয়ে আসছিল ওর। সেখানকার লোকজন ওকে উদ্ধার করে জল খাওয়ায়। আমরা সকলে খুব চিন্তায় আছি। সকলে সুস্থ ভাবে ফিরে আসুক, এই কামনা করছি।’’
উল্লেখ্য, মহাকুম্ভ উপলক্ষে প্রয়াগরাজে কোটি কোটি মানুষের সমাগম হয়েছে। মৌনী অমাবস্যায় ত্রিবেণী সঙ্গমে ডুব দিয়ে পুণ্য অর্জন করতে বাংলা থেকেও অনেকে গিয়েছেন। কিন্তু মঙ্গলবার রাতে মহাকুম্ভের ভিড়ে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনা ঘটে। ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে অন্তত ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা পিটিআই। আহত ৬০ জনের বেশি। এর ফলে সাময়িক ভাবে ‘শাহি স্নান’ বন্ধ করে দিয়েছিল যোগী আদিত্যনাথ প্রশাসন। পরে আবার পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়েছে।
অন্য দিকে, উত্তরপ্রদেশে গিয়ে নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন পূর্ব বর্ধমানের এক মহিলা। আত্মীয়দের সঙ্গে মহাকুম্ভে পুণ্যের আশায় গিয়েছিলেন কাটোয়ার আলপনা হালদার। গত ২৫ জানুয়ারি থেকে তিনি নিখোঁজ। তাঁর কন্যা থানায় নিখোঁজ ডায়েরিও করেছেন।