—প্রতীকী চিত্র।
প্রেমের সম্পর্কে বিচ্ছেদের পর থেকেই ধর্ষণের অভিযোগ তুলে প্রেমিককে ‘ব্ল্যাকমেল’ করছিল নাবালিকা প্রেমিকা! সেই আক্রোশেই তাকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল প্রেমিকের বিরুদ্ধে। শুধু তা-ই নয়, খুনের পর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে সব কথা কবুলও করলেন তরুণ। এই ঘটনায় উত্তপ্ত মালদহের হবিবপুর। অভিযুক্তের ফাঁসির দাবিতে পথ অবরোধ করেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃতা অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। বৃহস্পতিবার রাতে তার বাবা ও মা দু’জনেই মেলায় আইসক্রিম বিক্রি করতে গিয়েছিলেন। নাবালিকা বাড়িতেই ছিল। সঙ্গে ছিল তার সাত বছরের ভাইও। অভিযোগ, সেই সময় বাড়িতে হানা দেয় গ্রামেরই এক যুবক। ডাকাডাকিতে নাবালিকা বেরিয়ে এলে তাকে গলা টিপে খুন করেন তিনি। এর পর সেখান থেকে সোজা হবিবপুর থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক থানায় গিয়ে পুলিশকে গোটা ঘটনা জানান। এর পর পুলিশ গ্রামে গিয়ে বাড়ি থেকে নাবালিকার দেহ উদ্ধার করে। দেহটি ময়নাতদন্তের জন্য মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণির ছাত্রীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল এই অভিযুক্ত যুবকের। সম্প্রতি সেই সম্পর্কে ছেদ পড়ে। তার পর থেকেই ওই ছাত্রী ধর্ষণের অভিযোগ তুলে তাকে ব্ল্যাকমেল করছিল বলে দাবি করেছে যুবক। ওর বক্তব্য, সেই কারণেই সে খুন করেছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে। তবে প্রাথমিক ভাবে অনুমান করা হচ্ছে, গলা টিপে খুন করা হয়েছে।’’
এই ঘটনার পরেই মালদহ-নালাগোলা রাজ্য সড়কের বুলবুলচণ্ডি হাসপাতাল মোড় অবরোধ করেন এলাকাবাসীরা। অবরোধ তুলতে হবিবপুর থানার আইসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছে। নিহত ছাত্রীর বাবা বলেন, ‘‘প্রায়শই মেলায় আইসক্রিম বিক্রি করতে যাই। ঘরে ছেলেমেয়ে একাই থাকে। কোনও সমস্যা হয়নি কোনও দিন। কিন্তু এমন ঘটনা হবে মানতে পারছি না। ছেলেটার ফাঁসি চাই।’’