মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
ঘূর্ণিঝড়ের দাপটে রবিবার বিকেলে লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছে জলপাইগুড়ির বিস্তীর্ণ এলাকা। সেই পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাতেই জেলায় পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, ঝড়ে আহতদের দেখতে রাতেই তিনি জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল হাসপাতালে যাচ্ছেন।
রবিবার রাতে বাগডোগরা বিমানবন্দরে নেমে মমতা জানান, ঝড়ে পাঁচ জনের মৃত্যু হয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘রাজ্য সরকার পাশে আছে। এখন যেহেতু এমসিসি চলছে, তাই প্রশাসন যা করার করবে। একটা বাচ্চাকে নেওটিয়া হাসপাতালে আনা হচ্ছে, ওটা কাল বিকেলে অভিষেক এসে দেখে নেবে। প্রশাসন যা করার করবে। সবটা এখানে বলছি না।’’
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, ঝড়ে আহত হয়েছেন বহু মানুষ। অনেকে আশ্রয়হীন। এই পরিস্থিতিতে রবিবার রাতেই উত্তরবঙ্গে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পোস্টে তিনি আগেই জানিয়েছেন, জেলা ও ব্লক প্রশাসন, পুলিশ, ডিএমজি এবং কুইক রেসপন্স টিম বিপর্যয় মোকাবিলায় কাজ করছে। ত্রাণ সরবরাহ চলছে। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, সোমবার জলপাইগুড়ির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই তদারকি করবেন। সে দিকে নজর থাকবে। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও রাজভবনে ‘ইমার্জেন্সি সেল’ চালু করেছেন। তিনিও সোমবার জলপাইগুড়ি যাচ্ছেন বলে খবর রাজভবন সূত্রে।