গৌতম দেব ও রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
কোচবিহারের সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোপের মুখে পড়লেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। শুক্রবার দলীয় বৈঠকে একমাত্র তাঁকেই কড়া ভর্ৎসনা করেন তৃণমূলনেত্রী। তোপের মুখে কিছু বলতে গেলেও শেষপর্যন্ত তা বলা হয়নি তাঁর।
একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি নিয়ে এদিন দলের সাংসদ, বিধায়ক ও নেতাদের সঙ্গে ভিডিয়ো বৈঠক করেন মমতা। সেখানেই জেলা ধরে সাংগঠনিক অবস্থা নিয়ে আলোচনা হয়। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলি নিয়ে আলোচনায় প্রায় সব ক্ষেত্রেই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এড়িয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার কথা বলতে হয়েছে মমতাকে। কোচবিহারের প্রসঙ্গ উঠতেই জেলার সাংগঠনিক ও রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথের নাম করেই জানিয়ে দেন, তিনি একেবারেই অখুশি। মন্ত্রী ও পুরনো নেতা হয়েও রবীন্দ্রনাথবাবু যে কোনও কাজ করছেন না, তা জানিয়ে ধমকই দিয়েছেন তাঁকে।
পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকে কোচবিহারের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে জেরবার তৃণমূল। দলের একাংশ মনে করে, লোকসভা নির্বাচনে এই আসনটি হাতছাড়া হওয়ার অন্যতম কারণ এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই। এখনও সেই পরিস্থিতির কোনও উন্নতি হয়নি। এদিন এই জেলারই নেতা তথা পার্থপ্রতীম রায়কেও তাঁর কাজকর্ম নিয়ে সতর্ক করে দিয়েছেন মমতা। প্রাক্তন সাংসদের নাম করে মমতা বলেন, ‘‘তুমি নিজের এলাকায় থাক। তার বাইরে যাওয়ার দরকার নেই।’’
মালদহে কোনও আসন নেই তৃণমূলের। এদিনের বৈঠকে জেলার নেতাদের সে কথা মনে করিয়ে দিয়েছেন মমতা। সেই সঙ্গেই জেলা সভাপতি মৌসমকে দলের সকলকে নিয়ে কাজ করার কথা বলেছেন তিনি।
জলপাইগুড়ি পুরসভা নিয়ে দলের অন্দরে যে বিরোধ চলছে এদিন সে সম্পর্কেও ক্ষোভ জানিয়েছেন মমতা। এই জেলায় সংগঠনে কী হচ্ছে সে সম্পর্কে তিনি যে সম্পূর্ণ ওয়াকিবহাল তা মনে করিয়েই জেলার নেতাদের সতর্ক করা হয়েছে।