ফাইল চিত্র।
ভিডিয়ো মাধ্যমে হওয়া প্রশাসনিক বৈঠকে জলপাইগুড়ি জেলার চা বাগান নিয়ে খোঁজ নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মঙ্গলবার রাজ্যের পাঁচ জেলার জেলাশাসক ও প্রশাসনের আধিকারিকদের নিয়ে ভিডিয়ো বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে উত্তরবঙ্গ থেকে একমাত্র জলপাইগুড়ি জেলা ছিল। এ দিন বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জেলার চা বাগানের পরিস্থিতি সম্পর্কে বিস্তারিত রিপোর্ট সাতদিনের মধ্যে শ্রম দফতরকে পাঠাতে বলেছেন। একই সঙ্গে চা শ্রমিকদের করম উৎসব উপলক্ষে এবছরও সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। খোঁজ নিয়েছেন জেলার বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প, বিশেষ করে কন্যাশ্রী নিয়েও।
জলপাইগুড়ি জেলাশাসকের দফতরে এ দিনের বৈঠকে পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া, ছিলেন জেলা পুলিশ সুপার প্রদীপ কুমার যাদব, টি ডাইরেক্টরেটের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণকুমার কল্যাণী, জলপাইগুড়ি জেলাপরিষদের সভাপতি উত্তরা বর্মণ।
বৈঠক শেষে গৌতম দেব বলেন, ‘‘চা শ্রমিকদের বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। এই কারণেই বাগানের সার্বিক পরিস্থিতির রিপোর্ট জানতে চেয়েছেন তিনি।’’ বাগান নিয়ে কী খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী? টি ডাইরেক্টরেটের ভাইস চেয়ারম্যান কৃষ্ণকুমার কল্যাণী জানান, মুখ্যমন্ত্রী বাগানের করোনা পরিস্থিতি কেমন রয়েছে তা জানতে চেয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে চা শ্রমিকদের মজুরি নিয়ে কোথাও কোনও অসুবিধে হচ্ছে কিনা তাও জানতে চেয়েছেন।
সূত্রের খবর, কন্যাশ্রী প্রকল্পের সুযোগ জেলার ছাত্রীরা ঠিকমতো পেয়েছে কি না তা নিয়ে এ দিন খোঁজ নেন মুখ্যমন্ত্রী। কন্যাশ্রীর টাকা এখনও মেলেনি, এমন উপভোক্তাদের কাছে আজ বুধবারের মধ্যেই বকেয়া টাকা পৌঁছে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গৌতম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মেনে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী-সহ অন্য প্রকল্পের আওতায় থাকা উপভোক্তাদের বকেয়া টাকা বুধবারের মধ্যেই অনলাইনে দিয়ে দিতে বলা হয়েছে।’’
স্কুল বন্ধ থাকার কারণেই সব উপভোক্তাদের কাছে টাকা পৌঁছে দেওয়ার কাজে কিছুটা অসুবিধে হচ্ছে বলে দাবি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।