অস্ত্র দিয়ে ছাত্রের যৌনাঙ্গে কোপ দেওয়ার অভিযোগ মালদহে। —প্রতীকী চিত্র।
খাওয়াদাওয়া করে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল নাবালক। হঠাৎ তার প্রচণ্ড চিৎকারে জেগে ওঠে বাড়ির লোকজন। পড়ুয়ার ঘরে গিয়ে দেখে চমকে ওঠেন সবাই। দেখেন রক্তারক্তি কাণ্ড। নবম শ্রেণির ছাত্রের যৌনাঙ্গ কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে।
আহত ছাত্র এখন মালদহ মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাধীন। এই ঘটনায় জোর চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে মালদহের রতুয়া থানা এলাকায়।
পুলিশ সূত্রে খবর, আহত ছাত্রের নাম আসিফ আলি। ১৫ বছর বয়সি ওই কিশোর স্থানীয় স্কুলের নবম শ্রেণির পড়ুয়া। পড়ুয়ার বাবা রফিক আলি জানান, অন্যান্য দিনের মতো সোমবার রাতে খাওয়াদাওয়া করে নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিল ছেলে। রাতের বেলা হঠাৎ ছেলের চিৎকারে শুনে ছুটে যান তিনি। ছেলের ঘরে গিয়ে দেখেন, রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে সে। দেখেন, ছেলের যৌনাঙ্গ কাটা।
খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রতুয়া থানার পুলিশ। তড়িঘড়ি ওই স্কুলপড়ুয়াকে নিয়ে যাওয়া হয় সামসি গ্রামীণ হাসপাতালে। কিন্তু সেখানে তাঁর শারীরিক পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।
স্কুলছাত্রের বাবা রফিক আলি জানান, তাঁকে ছেলে জানিয়েছে, দু’জন লোক মুখ ঢাকা অবস্থায় রাতের অন্ধকারে এসে তার গোপনাঙ্গে অস্ত্রের আঘাত করে। পুরো ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।