চন্দ্রাভিযান: রাতে জেগে রইল মালদহ

এই রূপকথার একটি চরিত্র মালদহের গৌতম মানি। চন্দ্রযান-২ তৈরির অন্যতম সহযোদ্ধা  ছিলেন তিনি। সেই চন্দ্রাভিযান যখন সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছিল আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০২:১৬
Share:

চন্দ্রযান ২।

পঞ্চাশ বছর আগে চাঁদে পা রাখে মানুষ। তারই যেন অর্ধশতবর্ষপূর্তি হল চন্দ্রযান ২-এর চাঁদের মাটিতে পা রাখার মধ্যে দিয়ে। চাঁদ বরাবরই রূপকথার জায়গা। মাস দেড়েক আগে সেই রূপকথায় যেন যোগ হয়েছিল আর এক রূপকথা। ২২ জুলাই, সোমবার দুপুরে ভারতের দ্বিতীয় চন্দ্রাভিযান হয়।

Advertisement

এই রূপকথার একটি চরিত্র মালদহের গৌতম মানি। চন্দ্রযান-২ তৈরির অন্যতম সহযোদ্ধা ছিলেন তিনি। সেই চন্দ্রাভিযান যখন সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছিল আনন্দে লাফিয়ে উঠেছিলেন তিনি। শুক্রবার সেই চন্দ্রযান-এর চাঁদের মাটিতে পা রাখার কথা। তাই সকাল থেকেই রীতিমতো উত্তেজনায় চঞ্চল গৌতম। টেলিভিশনের পর্দায় রাত জেগে বসেছিলেন গৌতমের মা গোপা মানি ও স্ত্রী উপাসনাও। মালদহের ইংরেজবাজার শহরের মহাজনটোলায় আদি বাড়ি গৌতমের। এ বছরের মার্চ মাসে তাঁর বাবা গোপেশচন্দ্র মারা যান। আর কিছু দিন আগেই উপাসনাকে বিয়ে করেছিলেন গৌতম। বাবার মৃত্যুর পর মা ও স্ত্রীকে নিয়ে এখন তিরুঅনন্তপুরমেই থাকেন। ইসরোতে তিনি প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ার হিসেবে কর্মরত। জানা গিয়েছে, চন্দ্রযান-২ তৈরিতে তিনি ছিলেন অন্যতম সহযোগী। গৌতম বলেন, ‘‘চন্দ্রযানের মহাকাশে পরিক্রমা চলাকালীন বরাবর আমরা তার নজরদারিতে ছিলাম। গুরুত্বপূর্ণ এই চন্দ্রযান অভিযানের একজন সহযোদ্ধা হতে পেরে আমি নিজেকে গর্বিত মনে করি।’’ গৌতমের কাকা মালদহেই মহাজনটোলাতে থাকেন। তিনি বলেন, ‘‘ভাইপোর জন্য আমরা গর্বিত।’’

দ্বিতীয় চন্দ্রযান রূপকথার আর এক চরিত্র মালদহের সুহাস মুখোপাধ্যায়। চন্দ্রযান-২ যখন সফল ভাবে উৎক্ষেপণ হয়েছিল তখন আনন্দে তিনি হাত ছুড়ে দিয়েছিলেন আকাশপানে। মালদহের বাড়িতে চন্দ্রযান-এর চাঁদে পা রাখার সেই দৃশ্য দেখতে রাত জেগে টেলিভিশনের সামনে বসেছিলেন মা ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় ও মেজ দিদি মৈত্রেয়ী। সুহাসের বাড়ি ইংরেজবাজার শহরের ড্রিমল্যান্ড কলোনিতে। কয়েক বছর আগে বাবা সুজিত মুখোপাধ্যায় প্রয়াত হয়েছেন। কর্মসূত্রে সুহাস এখন তিরুঅনন্তপুরমে থাকেন। ২০১০ সালে ইসরোতে তিনি যোগ দিয়েছিলেন। পারিবারিক সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার সাতসকালেই তিনি পৌঁছে গিয়েছেন তাঁর কর্মস্থল ইসরোতে। সুহাস বলেন, ‘‘চন্দ্রযান ২-য়ের সফল উৎক্ষেপণ যেদিন হয়েছিল সে দিন গর্বে বুক ভরে উঠেছিল। এই সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আমি খুবই খুশি ও গর্বিত যে এমন মহৎ একটি কাজের সঙ্গে আমি নিজেকে যুক্ত রাখতে পেরেছিলাম।’’

Advertisement

মৈত্রেয়ী বলেন, ‘‘দ্বিতীয় চন্দ্রযান সফলভাবে উৎক্ষেপণের পরেও ভাইয়ের ব্যস্ততা কিন্তু কমেনি। রোভার ও ল্যান্ডার ঠিকঠাক কাজ করবে কিনা তার পর্যবেক্ষণ সব সময়ে করেছে ভাইরা।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement