Malda Airport

কাজ বাকি বিমানবন্দরের, দ্রুত উড়ান চান জেলাবাসী

শতাব্দীর ছয়ের দশকে ইংরেজবাজার শহর লাগোয়া এলাকায় বিমানবন্দরটি গড়ে ওঠে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরে ১৮ আসনের ছোট বিমান ওঠা-নামা করেছে।

Advertisement

অভিজিৎ সাহা

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ অগস্ট ২০২৩ ০৮:৪৯
Share:

মালদহ বিমানবন্দরের অফিস ঘরের বর্তমান ছবি। সোমবার। — নিজস্ব চিত্র।

কোটি টাকা ব্যয়ে তৈরি হয়েছে রানওয়ে। তবে অভিযোগ, সেখানে এখনও বিশ্রামাগার, শৌচাগার, পার্কিং জ়োন গড়ে ওঠেনি। এমনই অবস্থায় রয়েছে মালদহ বিমানবন্দর। সোমবার, মালদহ বিমানবন্দর চালু করা নিয়ে বিধানসভায় প্রশ্ন তোলেন বিজেপির ইংরেজবাজারের বিধায়ক শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী। তাঁর প্রশ্নের জবাবে বিমানবন্দরের কাজ প্রায় শেষ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

Advertisement

শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী বলেন, “মালদহ বিমানবন্দর চালু নিয়ে রাজ্য সরকারের কোনও উদ্যোগ রয়েছে কি না, তা বিধানসভায় জানতে চেয়েছিলাম। বিমানবন্দর চালু নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ভাসা-ভাসা উত্তর দিয়েছেন। কারণ, মালদহের বিমানবন্দরের কাজ বহু বাকি রয়েছে।” এ ব্যাপারে রাজ্য ও কেন্দ্র সরকারের সমালোচনা করেছেন কংগ্রেস নেতা ইশা খান চৌধুরী। তিনি বলেন, “কংগ্রেসের আমলে মালদহ বিমানবন্দর চালু হয়েছিল। রাজ্য এবং কেন্দ্রের সরকার বিমানবন্দর চালুর ক্ষেত্রে উদ্যোগী হচ্ছে না।” তৃণমূলের জেলা সভাপতি বিধায়ক আব্দুর রহিম বক্সী বলেন, “রাজ্য সরকার বিমানবন্দরের পরিকাঠামো গড়ে তুলেছে। কেন্দ্রের সরকার ছাড়পত্র দিলেই বিমান পরিষেবা চালু হবে।” তবে রাজনৈতিক চাপান-উতোর নয়, বিমানবন্দর চালু হোক, এমনটাই চান জেলাবাসী থেকে জেলার বণিক মহল।

গত শতাব্দীর ছয়ের দশকে ইংরেজবাজার শহর লাগোয়া এলাকায় বিমানবন্দরটি গড়ে ওঠে। ১৯৮৬ সাল পর্যন্ত বিমানবন্দরে ১৮ আসনের ছোট বিমান ওঠা-নামা করেছে। তার পর থেকে জেলার ওই বিমানবন্দরে বিমান পরিষেবা বন্ধ হয়ে যায়। তবে তৃণমূল রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পরে বিমানবন্দরটি চালু করায় উদ্যোগী হয়। ২০১৭ সালে বিমানবন্দরের পরিকাঠামো উন্নয়নের কাজ শুরু হয়। প্রশাসনের দাবি, বিমানবন্দরের জন্য ১২ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়। ১১ মিটার লম্বা এবং ৩৩ মিটার চও়ড়া রানওয়ে তৈরি করা হয়েছে।

Advertisement

প্রশাসনের দাবি, বিমানবন্দরের চারপাশে প্রচুর বহুতল বাড়ি গড়ে উঠেছে। বড় উড়ানের ক্ষেত্রে বহুতল বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এমন অবস্থায় মালদহের গাজলে বিমানবন্দর সরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement