ভরা বর্ষায় মহানন্দা নদীতে নৌকায় পারাপার। ছবি: বিনোদ দাস।
খরস্রোতা নদীতে জল কমলেই স্নানে নামছেন অনেকেই। মাঝ নদীর পাথরে বসে নিজস্বী (সেলফি), আড্ডা মারা থেকে বাদ যাচ্ছে না কিছুই। প্রশাসনের তরফে প্রবেশ নিষেধ এলাকাতেও ঢুকে পড়ছেন কেউ কেউ। তাতে ভয় থাকছে দূর্ঘটনার। শিলিগুড়ির অদূরে চম্পাসারি গ্রাম পঞ্চায়েতের গুলমা এলাকার মহানন্দা নদীতে প্রায়দিন এমনই ছবি দেখা যাচ্ছে। পাহাড়ি নদী মহানন্দায় যে কোনও সময় জল বাড়তে পারে। হতে পারে হড়পা বানও। তার পরেও সেখানে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কচিকাঁচাদের ঘোরাফেরা কিংবা জলে নামা গুলমায় বড় দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকছে।
পাড়ার, নদী, জঙ্গল ঘেরা গুলমা মনোরম প্রকৃতির। শহরে কোলাহল থেকে একটু নিস্তব্ধতার জন্য অনেককে কাছে টানে এলাকাটি। সেই সুযোগে সেখানে অসামাজিক কাজের অভিযোগ উঠেছে। মহানন্দার বাঁধে মদের আসর বসা থেকে মাঝে মাঝে ঝমেলার অভিযোগ পড়েছে প্রশাসনের কাছে। চম্পাসারি পঞ্চায়েতের তরফে বোর্ড টাঙিয়ে বাঁধে ওঠা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া রয়েছে। বাঁধের একটা অংশে কাঠের দণ্ড দিয়ে আটকে দেওয়া রয়েছে। কিন্তু কে কার কথা শোনে। অভিযোগ, তোয়াক্কা না করে ঢুকে পড়ছেন জঙ্গল এলাকায়। গরমে খরস্রোতা নদীতে নেমে থাকছেন ঘণ্টার পর ঘণ্টা।
পাহাড়ে বৃষ্টি হলে যে কোনও সময় জল বাড়তে পারে। হড়পা বান এলে ভাসিয়ে দিতে পাতে দু’কূল। তাতে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। অভিযোগ, সেখানে জঙ্গলের জমি দখল করে একের পর এক দোকানপাট তৈরি হয়েছে। চলছে নানা ব্যবসা। তার বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
চম্পাসারি পঞ্চায়েতের প্রধান জনক সাহা বলেন, ‘‘প্রশাসনকে জানানো হবে। নদীতে যাতে কেউ না নামেন কিংবা বাঁধে না ওঠেন বোর্ড লাগানোর হয়েছে। পুলিশকেও জানানো হবে।’’ মাটিগাড়া বিডিও বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘বন দফতরকে এবং পুলিশকে জানানো হবে। সেখানে সরকারি জমি থাকলে সক্রিয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’