ডব্লিউ ডব্লিই এফ-এর ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাঘের ছবি। —নিজস্ব চিত্র।
বক্সা ব্যাঘ্রপ্রকল্পে কি একাধিক বাঘ রয়েছে? না কি একটি বাঘের ছবিই দু’টি আলাদা জায়গায় পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে? ওই অভয়ারণ্যে বন দফতরের দু’টি জায়গায় রাখা দু’টি ভিন্ন ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাঘের ছবি। ফলে এক না একাধিক বাঘ রয়েছে ওই অভয়ারণ্যে, সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। দু’টি ছবিই খুঁটিয়ে পরীক্ষা করছেন বনকর্মীরা।
শুক্রবার রাত ১২টা বেজে ২ মিনিটে বন দফতরের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় বক্সার জঙ্গলে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগারের ছবি ধরা পড়ে। আবার ওই দিনই ওই জায়গা থেকে কিছুটা দূরে বন দফতরের পাতা অন্য একটি ট্র্যাপ ক্যামেরায় বাঘের ছবি ধরা পড়েছে। যদিও নিরাপত্তার কারণে কোথায় ট্র্যাপ ক্যামেরা বসানো হয়েছিল তা জানায়নি বন দফতর। এই দুই ছবিই বক্সার জঙ্গলে একাধিক বাঘের উপস্থিতির সম্ভাবনা উস্কে দিয়েছে। এই প্রসঙ্গেই রাজ্যের বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘বক্সায় চার জন আধিকারিকের একটি দল পাঠানো হয়েছে বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য। তাঁরা ভাল করে খোঁজখবর নেবেন। এর পর দ্রুত বাঘসুমারি শুরু হবে।’’
ট্র্যাপ ক্যামেরায় ধরা পড়েছে বাঘের ছবি। নিজস্ব চিত্র।
শনিবার বন দফতর সূত্রেই জানা যায়, জঙ্গলে নদীর ধারে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গিয়েছে। তখনই বনকর্মীরা বক্সা অভয়ারণ্যে বাঘের উপস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত হয়ে যান। তবে বাঘের পায়ের ছাপ কোন নদীর তীরে দেখা গিয়েছে তা নিরাপত্তার স্বার্থে তাঁরা বলতে রাজি নন। রবিবার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের ক্ষেত্র অধিকর্তা বুদ্ধরাজ সেওয়া সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়ে দেন, দীর্ঘ দিন ধরেই বক্সায় বাঘের গতিবিধি নজরে রাখা হচ্ছিল। অবশেষে ‘বড় সাফল্য’ পাওয়ায় খুশি বন দফতর। তাঁদের পাতা ট্র্যাপ ক্যামেরায় যে দু’টি ছবি পাওয়া গিয়েছে তা একই বাঘের কি না তা খুঁটিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে।
নদীর ধারে বাঘের পায়ের ছাপ। নিজস্ব চিত্র।
বক্সায় বাঘ সংক্রান্ত তথ্য জানতে তৎপরতা শুরু হয়েছে বলেও জানিয়েছেন বুদ্ধরাজ। তাঁর দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বক্সায় ১৫০ টি ট্র্যাপ ক্যামেরা রয়েছে। এ ছাড়া বাঘের গতিবিধি জানতে জলদাপাড়া থেকে আরও ৭০টি ট্র্যাপ ক্যামেরা আনা হচ্ছে। পাশাপাশি, বাঘের ছবি দেখতে পাওয়ার পরই বক্সায় আগামী সোমবার থেকে শুক্রবার পর্যন্ত পাঁচ দিন পর্যটকদের জন্য জঙ্গল সাফারি বন্ধ রাখার ঘোষণা করা হয়েছে। তবে পর্যটকরা জয়ন্তী যেতে পারবেন। বক্সার জঙ্গলে ৫০০টি স্পটে়ড হরিণ এবং সম্বর ছাড়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বুদ্ধরাজ। নিরাপত্তার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি।