CPM

KMC Election 2021: বাম ঐক্যে ফাটল কলকাতার পুরভোটে, কাস্তে-হাতুড়ির সঙ্গে টক্করে কোদাল-বেলচা

আরএসপি-র যুক্তিকে পাত্তা না দিয়ে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে জোর প্রচার শুরু করেছেন সিপিএম প্রার্থী দীপঙ্কর। এতে ফ্রন্টের ঐক্য ক্ষুণ্ণ হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০২১ ১৮:৫৪
Share:

কলকাতা পুরসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে লড়াই বামফ্রন্টের দুই শরিকের মধ্যে। ফাইল চিত্র

কলকাতার পুরভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে আগেই জোট ভেঙে গিয়েছে সিপিএমের। এ বার পুরভোটে কলকাতার একটি ওয়ার্ডে বামফ্রন্টের শরিকদের মধ্যেই ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হচ্ছে। যাদবপুর বিধানসভার ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডটি বামফ্রন্টের আসন বণ্টনের নিরিখে আরএসপি-র ভাগে পড়ে। কিন্তু এ বারের পুরভোটে ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সিপিএমের কলকাতা জেলা কমিটি। কিন্তু নিজেদের ভাগের আসন ছাড়তে চায়নি আরএসপি। বামফ্রন্টের প্রার্থী তালিকায় দেখা যায় ওই ওয়ার্ডে প্রার্থী হয়েছেন সিপিএমের দীপঙ্কর মণ্ডল। বড় শরিকের এমন সিদ্ধান্ত দেখে ক্ষুব্ধ আরএসপি। পাল্টা মনোনয়ন দাখিল করেন আরএসপি-র অলোক চট্টোপাধ্যায়। ৪ ডিসেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনেও সিপিএম বা আরএসপি, কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেনি। তাই বামফ্রন্টের জোটের দুই দীর্ঘদিনের শরিক এ বার সম্মুখসমরে।

Advertisement

জেলা স্তর থেকে স্থানীয় স্তর পর্যন্ত আলোচনা চালিয়েও বামফ্রন্টের এই জট খোলা যায়নি বলেই জানাচ্ছে বামফ্রন্টের একটি সূত্র। সূত্রের খবর, এই আসনে প্রার্থী দেওয়ার পক্ষে সিপিএমের দাবি, যেহেতু যাদবপুর বিধানসভায় আরএসপি-র তুলনায় তাদের সংগঠন ভাল জায়গায় রয়েছে, তাই তারাই এই পুরভোটে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে প্রার্থী দিয়েছে। আরএসপি-র পাল্টা যুক্তি, যেহেতু দীর্ঘ কয়েকটি পুর নির্বাচনে এই আসনে তারাই প্রার্থী দিয়ে এসেছে, তাই এ ক্ষেত্রেও তাঁরাই ওই আসনের দাবিদার। আরএসপি-র যুক্তিকে পাত্তা না দিয়ে ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে জোর প্রচার শুরু করে দিয়েছেন সিপিএম প্রার্থী দীপঙ্কর। আর এমন ঘটনায় পুরভোটে বামফ্রন্টের জোটের দুধে একটু হলেও চোনা পড়ে গিয়েছে।

কলকাতা জেলা সিপিএমের এক সদস্যের কথায়, ‘‘সিপিএম প্রার্থীই ১০৬ নম্বর ওয়ার্ডের বামফ্রন্টের প্রার্থী। আরএসপি প্রার্থী মনোনয়ন দিলেও সে ভাবে প্রচারে নেই। তাই সমস্যাও সে ভাবে কিছুই নেই।’’ তবে আরএসপি-র প্রবীণ নেতা মনোজ ভট্টাচার্যের বক্তব্য সম্পূর্ণ ভিন্ন। তিনি বলেন, ‘‘প্রার্থী যখন দেওয়া হয়েছে প্রচার তখন চলবেই। আসলে স্থানীয় স্তরেই ওই ওয়ার্ডটি নিয়ে সমস্যা মেটানো যায়নি। তাই প্রতি বারের মতো ওই ওয়ার্ডে আমরা প্রার্থী দিয়েছি। আর সিপিএম-ও নিজেদের মতো করে প্রার্থী দিয়েছে। একে অনেকটা ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ বলা যায়।’’ পঞ্চায়েত ভোটে দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দক্ষিণ দিনাজপুর ও মুর্শিদাবাদে সিপিএম-আরএসপি-র মধ্যে এমন ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ প্রত্যক্ষ করে এসেছে সেখানকার মানুষ। কিন্তু শহর কলকাতায় কাস্তে হাতুড়ি ও কোদাল বেলচার লড়াই সম্ভবত এই প্রথমবার দেখা যাবে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement