আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে এর দাম প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। জানিয়েছে জলপাইগুড়ির বন দফতর। —নিজস্ব চিত্র।
ক্রেতা সেজে অভিযান চালিয়ে চোরাচালানকারীদের বিরুদ্ধে বড়সড় সাফল্য পেল জলপাইগুড়ির বন দফতর। শনিবারের অভিযানে প্যাঙ্গোলিনের চামড়া ও আঁশ-সহ দু’জন সন্দেহভাজন চোরাচালানকারীকে গ্রেফতার করলেন বনকর্মীরা। তাঁদের দাবি, ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া প্যাঙ্গোলিনের চামড়া ও আঁশের দাম আন্তর্জাতিক চোরাবাজারে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা। এই দলের যুক্ত অন্যদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছেন বন বিভাগ।
বন দফতর জানিয়েছে, ধ়ৃতদের নাম আনন্দ বারলার এবং নেওলা ভেংরা। তাঁদের মধ্যে আনন্দের বাড়ি সাইলি চা বাগানে। নেওলা রানিচেরা চা বাগানের বাসিন্দা। ধৃতদের কাছ থেকে প্যাঙ্গোলিনের চামড়া, আঁশ ছাড়াও মোবাইল এবং কিছু নথিপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। রবিবার ধৃতদের আদালতে তোলা হয়।
আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃতদের। দাবি বন বিভাগের। —নিজস্ব চিত্র।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শনিবার রাতে চালশা মালবাজার গ্রামীণ সড়কে অভিযান চালান লাটাগুড়ি রেঞ্জ এবং ওয়াইল্ডলাইফ ক্রাইম কন্ট্রোল ব্যুরোর সদস্যরা। ক্রেতা সেজে আনন্দ এবং নেওলার সঙ্গে যোগাযোগ করে প্যাঙ্গোলিনের চামড়া ও আঁশ কিনতে চান তাঁরা। সে টোপের ফাঁদে পড়েন আনন্দ এবং নেওলা। লাটাগুড়ি রেঞ্জ অফিসার শুভ্রশঙ্খ দত্ত বলেন, ‘‘মালবাজার কুর্তি সেতুর কাছে শনিবার আমরা অভিযান চালাই। ক্রেতা সেজে ওদের টোপ দিয়েছিলাম। বাইকে করে প্যাঙ্গোলিনের চামড়়া ও আঁশ বিক্রি করতে এসেছিল ওরা। সে সময় হাতেনাতে দু’জনকে ধরে ফেলে গ্রেফতার করে় বন বিভাগ।’’
শুভ্রশঙ্খের দাবি, আন্তর্জাতিক চক্রের সঙ্গে যোগাযোগ ছিল ধৃতদের। তিনি বলেন, ‘‘মধ্যপ্রাচ্যের বেশ কয়েকটি দেশের সঙ্গে ধৃতদের যোগাযোগ ছিল। আন্তর্জাতিক চোরাচালানকারীদের সঙ্গে এই চামড়া ও আঁশের প্রায় দশ লক্ষ টাকায় রফা করা হয়েছিল।’’