প্রতীকী চিত্র
জেএনইউ-তে হামলার প্রতিবাদে আন্দোলনের আঁচ এসে পড়ল উত্তরের জেলা আলিপুরদুয়ারেও। সোমবার বিকেল থেকে ডান-বাম বিভিন্ন ছাত্র-যুব সংগঠনের দফায় দফায় মিছিল ও পথসভা শুরু হয়ে যায় আলিপুরদুয়ার শহর জুড়ে। প্রতিবাদ আন্দোলনে শাসকদল তৃণমূলের জেলা শীর্ষ নেতৃত্বকেও যোগ দিতে দেখা যায়। মিছিলে হাঁটেন বর্তমান ও প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীরাও।
রবিবার সন্ধ্যায় জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে এই হামলার ঘটনা ঘটে। অভিযোগ, এবিভিপি-র সদস্যরা মুখ ঢেকে ক্যাম্পাসে ঢুকে একাধিক হস্টেলে তাণ্ডব চালায়। যার জেরে অধ্যাপিকা সুচরিতা সেন, ছাত্র সংসদের সভানেত্রী ঐশী ঘোষ-সহ অনেকে জখম হন।
জেএনইউতে হামলার খবর রাতে পাওয়ার পর থেকে শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ আন্দোলনের কর্মসূচির পরিকল্পনা। সোমবার তৃণমূল যুব ও টিএমসিপি-র তরফে মিছিলের ডাক দেওয়া হয়। বিকেলে বক্সা-ফিডার রোডে দমকল কেন্দ্রের সামনে থেকে এই মিছিল শুরু হয়। মিছিল শেষের পর আলিপুরদুয়ার চৌপথিতে পথসভাও হয়। মিছিলে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মৃদুল গোস্বামী, বিধায়ক সৌরভ চক্রবর্তী, আলিপুরদুয়ার পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান আশিস দত্তদেরও হাঁটতে দেখা যায়। মিছিলে যুব এবং ছাত্র মুখও দেখা যায়।
মৃদুলের অভিযোগ, ‘‘নতুন নাগরিকত্ব আইন ও এনআরসি-র প্রতিবাদে গোটা দেশে যখন আন্দোলন চলছে, তখন তা নষ্ট করতেই বিজেপির গুন্ডাবাহিনী জেএনইউতে হামলা চালিয়েছে। কিন্তু এ রাজ্যে আমরা কোনও মতেই এনআরসি করতে দেব না। এনআরসি-র বিরুদ্ধে ও নানা জায়গায় বিজেপির গুন্ডাবাহিনীর আক্রমণের প্রতিবাদে আমাদের আন্দোলন জারি থাকবে।’’
তৃণমূল যুবর জেলা সভাপতি প্রসেনজিৎ করের অভিযোগ, ‘‘দেশের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দখল করতে চাইছে বিজেপি। সে জন্যই গুন্ডাবাহিনীকে দিয়ে তারা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ ভাবে আক্রমণ শানাচ্ছে। এর বিরুদ্ধে আলিপুরদুয়ারে ছাত্র-যুবদের আন্দোলন জারি থাকবে।’’
জেএনইউ-তে বহিরাগতদের তাণ্ডবের প্রতিবাদে এদিন পথে নেমেছিল এসএফআই ও ডিএসও। ডিএসও-র তরফে এ দিন বিকালে আলিপুরদুয়ার শহরে একটি প্রতিবাদ মিছিল বের করা হয়। কামাখ্যাগুড়ি ও ফালাকাটায় মিছিল করে এসএফআই। পাশাপাশি এসএফআই আলিপুরদুয়ার শহর ও জংশনে দুটি পথসভাও করে।
এ দিন বিজেপির তরফে সে ভাবে কেউ প্রকাশ্যে কোনও দাবি করেননি। তবে কী ভাবে পাল্টা মিছিল করা যায়, তার পরিকল্পনা এ দিন করেছে গেরুয়া ব্রিগেড।