...প্রতিবাদের ভাষা

ভারতের কালো দিন, বলল জিএনএলএফ-ও

রবিবার জেএনইউ-তে যে তাণ্ডব চলেছে, তার পিছনে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র লোকজনেরা জড়িত বলেই অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে যে সব তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে, তাতে এই সন্দেহ জোরদার হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

দার্জিলিং শেষ আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২০ ০৩:৪৩
Share:

আলিপুরদুয়ারে একটি মিছিলে। নিজস্ব চিত্র

গত লোকসভা এবং বিধানসভা ভোটে বিজেপির সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছেন তাঁরা। তাঁদেরই নীরজ জিম্বা বিজেপিরই প্রতীকে জিতে বিধানসভায় গিয়েছেন। সেই জিএনএলএফ এ বারে জেএনইউ-তে ছাত্র ও শিক্ষকদের উপরে হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছে। দলের তরফে রবিবারকে ‘ভারতের কালো দিন’ বলে আখ্যা দিয়ে দলের তরফে বিজ্ঞপ্তিও জারি করা হয়েছে। পাশপাশি মোর্চার সভাপতি বিনয় তামাংও ঘটনার নিন্দা করে বিবৃতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে জেএনইউ-তে পাঠরত গোর্খা পড়ুয়াদের নিরাপত্তার দিকটিও দেখার অনুরোধ করেছেন।

Advertisement

রবিবার জেএনইউ-তে যে তাণ্ডব চলেছে, তার পিছনে বিজেপির ছাত্র সংগঠন এবিভিপি-র লোকজনেরা জড়িত বলেই অভিযোগ উঠেছে। প্রাথমিক ভাবে যে সব তথ্যপ্রমাণ সামনে এসেছে, তাতে এই সন্দেহ জোরদার হয়। এই পরিস্থিতিতে রবিবার দিনটিকে জিএনএলএফ যে ভাবে ‘ভারতের কালো দিন’ বলে ঘোষণা করেছে, তা তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে। যদিও এর মধ্যে কোনও রাজনীতি নেই বলে দাবি করেছেন জিএনএলএফের দার্জিলিঙের সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। তিনি বলেন, ‘‘এর মধ্যে বিন্দুমাত্র রাজনীতি নেই। যা ঘটনা ঘটেছে, তা নিন্দা করার ভাষা নেই। শুধু বিজেপি বা এবিভিপি কেন, আমাদের দলের কারও বিরুদ্ধেও এমন অভিযোগ উঠলে দল এই ভাষাতেই নিন্দা করত এবং ব্যবস্থা নিত। এখানেও অভিযুক্তদের কড়া শাস্তি চাই।’’ এই বিবৃতির ফলে বিজেপির সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক খারাপ হবে বলে মনে করেন না অজয়।

পাহাড়ের শাসক বিনয়পন্থী মোর্চা নেতারা জানাচ্ছেন, দার্জিলিং, কালিম্পং এবং সিকিমের বহু ছেলেমেয়ে দিল্লিতে পড়াশোনা করেন। তাঁদের একটি অংশ জেএনইউ-র ছাত্রছাত্রী। রবিবারের ঘটনার পর থেকে ওই ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকেরা দুশ্চিন্তায় আছেন। বিভিন্ন স্তরে তাঁরা যোগাযোগ শুরু করেছেন। ঘটনার প্রতিবাদ এবং নিন্দার পাশাপাশি দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন পাহাড়ের অনেকেই। এই পরিস্থিতিতে জিএনএলএফ যদি ঘটনার নিন্দা না করত, তা হলে তাদের পক্ষে পরিস্থিতি খারাপ হত বলেই মনে করছেন বিনয়পন্থী নেতারা।

Advertisement

একই ভাবে বিনয়ও ঘটনার নিন্দা করেছেন। বিনয় বলেছেন, ‘‘বিজেপি দেশের মানুষের মুখ বন্ধ করে দিতে চাইছে। জেএনইউ-র পড়ুয়ারা সেখানকার ফি বৃদ্ধি থেকে এনআরসি, সিএএ বা এনপিআরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। তাই তাদের আওয়াজ আটকাতে হামলা হচ্ছে। দেশের লজ্জার পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। তাই এই হামলা।’’ বিনয়পন্থী নেতারা জানান, জেএনইউ দেশের একটি ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সেখানে মুখে কাপড় বেঁধে হামলা হল, অথচ কেন্দ্রীয় সরকারের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের অধীনে থাকা দিল্লি পুলিশ কী ব্যবস্থা নিল, তা দেখাটা জরুরি।

এদিন রাত অবধি বিজেপির তরফে অবশ্য জিএনএলএফ বা মোর্চার বক্তব্য প্রসঙ্গে কেউ কোনও মন্তব্য করেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement