প্রতীকী ছবি।
সব ঠিক থাকলে পুজোর পরপরই জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের প্রথম অধ্যক্ষ নিয়োগ হতে চলেছেন। ১৪ অক্টোবর কলকাতায় ওই পদের জন্য মৌখিক পরীক্ষা রয়েছে। সূত্রের খবর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে থাকা স্বাস্থ্য প্রশাসনের জনা পনেরো আধিকারিক ওই পদের জন্য আবেদন করেছেন। মৌখিক পরীক্ষার পর বাছাই প্রক্রিয়া হতে হতে পুজো চলে আসবে। পুজোর ছুটির পরেই অধ্যক্ষকে নিয়োগ পত্র দেওয়া হবে, এমনটাই ঠিক রয়েছে।
সবে জলপাইগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস হয়েছে। এখনও একটা ইটও গাঁথা হয়নি। কাজের জন্য টেন্ডারও হয়নি। কী ভাবে ভবন হবে তার পরিকল্পনাও হয়নি। তাই প্রশ্ন উঠেছে, এত দ্রুত অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ কেন, নিয়োগ হলে অধ্যক্ষ বসবেন কোথায়। স্বাস্থ্য প্রশাসনের দাবি, মেডিক্যাল কলেজের যাবতীয় পরিকল্পনা করার জন্যই অধ্যক্ষ পদে নিয়োগ হচ্ছে। অধ্যক্ষই হবেন মেডিক্যাল কলেজের পরিকল্পনা বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চূড়ান্ত ব্যক্তি। জলপাইগুড়ি জেলার স্বাস্থ্য প্রশাসনের অফিসে অধ্যক্ষের চেম্বার তৈরি হবে বলে খবর।
উত্তরবঙ্গের করোনা মোকাবিলার বিশেষ আধিকারিক (ওএসডি) সুশান্ত রায় বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজকে কতটা অগ্রাধিকার দিচ্ছেন তা প্রমাণ হচ্ছে অধ্যক্ষ নিয়োগে। শিলান্যাসের এক সপ্তাহের মধ্যে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। নতুন মেডিক্যাল কলেজের ক্ষেত্রে এটাই দস্তুর। আগে অধ্যক্ষ নিয়োগ হন, তাঁর অধিনায়কত্বেই পরিকল্পনা হয়।”
বছর তিনেক আগে জলপাইগুড়ি সফরে এসে মুখ্যমন্ত্রী জলপাইগুড়িতে মেডিক্যাল কলেজ স্থাপনের ঘোষণা করেন। তারপরে কাজ শুরু হয়নি। রাজ্যের অভিযোগ ছিল কেন্দ্র অনুমতি দিচ্ছে না। এরমধ্যে গত লোকসভা ভোটে জলপাইগুড়ি আসনে বিপুল ভোটে জেতে বিজেপি। চলতি বছরের শুরুতে জলপাইগুড়ি মেডিক্যাল কলেজের অনুমোদন দেয় কেন্দ্র, সেই চিঠি প্রথমে রাজ্যকে না পাঠিয়ে বিজেপি সাংসদকে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ। তা নিয়ে চাপানউতোর চলে। চলতি মাসের শুরুতে মুখ্যমন্ত্রী উত্তরকন্যায় মেডিক্যাল কলেজের শিলান্যাস করেন। তারপরে শুরু হয়েছে অধ্যক্ষ নিয়োগের প্রক্রিয়া।
দু’টি ক্যাম্পাসে জলপাইগুড়ির মেডিক্যাল কলেজ হবে। একটি ক্যাম্পাস হবে পুরোনো জেলা হাসপাতাল চত্বরে আরেকটি হবে বর্তমান সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশের মাঠে।