Dearness allowance

ডিএ বাকি ‘বঞ্চনায়’, দাবি সেচমন্ত্রীর

কেন্দ্রের ‘জনবিরোধী নীতি’ ও ‘আর্থিক বঞ্চনার’ বিরুদ্ধে রবিবার মালদহের ইংরেজবাজার শহরের বৃন্দাবনী মাঠ থেকে মালদহ কলেজ মাঠ পর্যন্ত মহামিছিল করে তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

মালদহ শেষ আপডেট: ০৫ ডিসেম্বর ২০২২ ০৭:১৮
Share:

পথে: মিছিলে সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার। নিজস্ব চিত্র

রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দেওয়া নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধেই অভিযোগের আঙুল তুললেন রাজ্যের সেচমন্ত্রী পার্থ ভৌমিক। রবিবার বিকেলে, মালদহ কলেজ মাঠে তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের একটি সমাবেশে এই অভিযোগ তোলেন তিনি। ডিএ নিয়ে আন্দোলনের জন্য সিপিএমকেও কটাক্ষ করেছেন মন্ত্রী। এই সভাতেই এ দিন ফের প্রধানমন্ত্রীকে ‘ধৃতরাষ্ট্র’ বলে বিতর্ক উসকে দিয়েছেন মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র।

Advertisement

কেন্দ্রের ‘জনবিরোধী নীতি’ ও ‘আর্থিক বঞ্চনার’ বিরুদ্ধে রবিবার মালদহের ইংরেজবাজার শহরের বৃন্দাবনী মাঠ থেকে মালদহ কলেজ মাঠ পর্যন্ত মহামিছিল করে তৃণমূল প্রভাবিত কর্মচারী সংগঠন। মিছিলে ছিল প্রাইমারি, হাই স্কুল ও মাদ্রাসার শিক্ষক, কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী, আশা ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের সংগঠন। সেই মিছিলে হাঁটেন সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক ও জেলার দুই প্রতিমন্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন এবং তাজমুল হোসেন, জেলা তৃণমূল সভাপতি আব্দুর রহিম বক্সী-সহ একাধিক বিধায়ক ও তৃণমূল নেতৃত্ব। পরে মালদহ কলেজ মাঠে প্রকাশ্য সভা হয়।

সেই সভায় ডিএ প্রসঙ্গে সেচমন্ত্রী বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জিএসটি বাবদ এক লক্ষ হাজার কোটি টাকা পাওনা আছে রাজ্যের। ওই টাকা রাজ্য সরকারের প্রাপ্য এবং কারও বাবার টাকা নয়। কিন্তু কেন্দ্র তা দিচ্ছে না।’’ তিনি দাবি করেন, কেন্দ্রীয় সরকার যদি জিএসটি-র বকেয়া টাকা রাজ্যকে দিয়ে দেয়, তবে সরকারি কর্মীদের ডিএ মুখ্যমন্ত্রী ‘বাড়িতে পৌঁছে দেবেন’।

Advertisement

সিপিএমকে কটাক্ষ করে পার্থ বলেন, ‘‘ডিএ নিয়ে সিপিএম আওয়াজ তোলায় লজ্জা লাগে। কেন্দ্রের সঙ্গে কেরলের ডিএ-র ফারাক ৩৪ শতাংশ।’’ মন্ত্রী দাবি করেন, ত্রিপুরায় সিপিএমের আমলে পাওয়া ১০ হাজার ৩২৩ জন প্রাইমারি স্কুল শিক্ষকের চাকরি আদালতের রায়ে বাতিল হয়েছে। ওই শিক্ষকদের পাশে দাঁড়ানোর সাহস নেই সিপিএমের।

এ দিন সভায় মানিকচকের বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র প্রধানমন্ত্রীকে ‘অন্ধ ধৃতরাষ্ট্র’ বলে মন্তব্য করেন। উত্তর মালদহের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বলেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীকে সম্মান করার শিষ্টাচার তৃণমূল ভুলে গিয়েছে। পঞ্চায়েতেই তৃণমূল এর জবাব পাবে।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement